বিনোদন ডেস্ক : প্রথমবারের মতো শ্রেষ্ঠ সংগীতশিল্পী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাচ্ছেন চলতি প্রজন্মের সংগীতশিল্পী ফাতিমা তুয যাহরা ঐশী। মাসুদ পথিক পরিচালিত ‘মায়া দ্য লস্ট মাদার’ সিনেমায় ‘মায়ারে’ গানটির জন্য এই পুরস্কার পাচ্ছেন তিনি। গানটি লিখেছেন মাসুদ পথিক এবং সুর-সংগীত করেছেন ইমন চৌধুরী। এদিকে পুরস্কার ঘোষণার পর থেকেই অন্যরকম উন্মাদনায় ভাসছেন ঐশী। পুরস্কার প্রাপ্তিতে অনুভূতি কি? আগে কি মনে হয়েছিলো এবার পুরস্কারটা পাওয়া হতে পারে? এ গায়িকা হেসে বলেন, এ অনুভূতি প্রকাশ করার মতো নয়। এটা বলার জন্য বলা নয়, আসলেই তাই। ‘মায়ারে’ গানটি যখন প্রকাশ হয় তখনই অনেক প্রসংশা পেয়েছি। শ্রোতা থেকে শুরু করে সহকর্মীরাও এ গানটি নিয়ে নিজেদের ভালো লাগার কথা জানিয়েছেন। তবে এ গান দিয়ে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়ে যাবো সেটা কল্পনায়ও আসেনি।
একেবারে স্বপ্নের মতো ঘটে গেলো সব৷ পরবারের এত উৎসাহ ও সহযোগিতা না পেলে আমি এ পর্যন্ত আসতে পারতাম না। আমার বাবা, মা এবং ছোট দুই ভাই ঈশিক এবং ইয়াশের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। সেইসঙ্গে গভীর শ্রদ্ধা নিয়ে স্মরণ করছি আমার গানের শিক্ষক মোঃ শরীফ স্যার, হাফিজ উদ্দিন বাহার স্যার, সুজিত মোস্তফা স্যার এবং আমার শিক্ষক প্রয়াত শহীদ স্যারকে। তাদের কাছে আমি ঋণী। অবশ্যই আমার শ্রোতা-দর্শকের প্রতিও অনেক কৃতজ্ঞ। ধন্যবাদ সিনেমার পরিচালক মাসুদ পথিক ভাইকে আমাকে এই গানটি গাইবার সুযোগ করে দেবার জন্য। আমি আমার পরিবার এবং সকল শিক্ষককে এই পুরস্কার উৎসর্গ করলাম। এবার পরিকল্পনা কি? এ শিল্পী বলেন, এমন একটি স্বীকৃতির পর স্বাভাবিকভাবেই দ্বায়িত্বটা বেড়ে গেলো। চেষ্টা করবো শিল্পী হিসেবে শ্রোতাদের প্রত্যাশা পূরনের। সবার সহযোগিতাটাও কাম্য। এদিকে গতকাল ঐশীর জন্মদিন ছিলো। এবারের এই দিনটিও তার জন্য ছিলো অন্যরকম। এ বিষয়ে এ গায়িকা বলেন, এবারের জন্মদিন ছিলো আমার জন্য বিশেষ। মনে হলো জন্মদিনের আগেই বড় উপহার পেয়ে গেলাম! পুরস্কার ও জন্মদিনের আনন্দটা একাকার হয়ে গিয়েছিলো। এত শুভেচ্ছা পেয়েছি বলে বোঝাতে পারবো না। এত মানুষ যে আমাকে ভালোবাসে সেটা নতুন করে উপলব্ধি করলাম।