হোটেলে না থেকেও বিল: তদন্ত কমিটির কালীগঞ্জ হাসপাতাল পরিদর্শন

0
395

স্টাফ রিপোর্টার, কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ) ঃ ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক, নার্স ও কর্মচারীরা হোটেলে না থেকেও ভুয়া বিল ভাউচার দেখিয়ে টাকা তুলে নেয়ার ঘটনায় সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর ঝিনাইদহ সিভিল সার্জনের গঠিত তদন্ত কমিটি কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শন করেছেন। সিভিল সার্জন অফিস সুত্রে জানা গেছে, ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শামীম কবির কে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে তদন্ত কমিটি সরেজমিনে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শন ও সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলেন। কিন্তু তদন্ত কমিটির কোন সদস্য গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে কথা বলেননি। তদন্ত কমিটির সভাপতি ডা. শামীম কবির জানান, ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন অফিসের গঠিত তদন্ত কমিটি বৃহস্পতিবার হাসপাতাল পরিদর্শন করেছেন। প্রয়োজনে আরও একবার আমরা পরিদর্শনে যাবো। আমরা সব তথ্য যাচাই-বাছাই করছি। খুব শিঘ্রই তদন্ত প্রতিবেদন ঝিনাইদহ সিভিল সার্জনের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কিছু বলা যাবে না। এর আগে গত ২৭ নভেম্বর বিভিন্ন গণমাধ্যমে “করোনায় হোটেলে না থেকেও চিকিৎসকদের বিল ৫৭৬০০’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। করোনা প্রণোদনার ৩ লাখ টাকা হরিলুট হওয়ায় জেলা স্বাস্থ্য বিভাগে হইচই পড়ে যায়। কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শামীমা শিরিন এ টাকা তুলে নিয়েছেন বলে অভিযোগ। জানা গেছে, ৫ জুলাই ডা. শামীমা শিরিন স্বারিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, জুনের ৬ তারিখ থেকে ৬ চিকিৎসক, ৬ নার্স ও অন্যান্য ১২ স্টাফকে কালীগঞ্জের রহমানিয়া আবাসিক হোটেলে থাকা বাবদ ৫৭ হাজার ৬০০ এবং খাওয়া বাবদ ৯৬ হাজার টাকা প্রদান করা হয়। এছাড়া এপ্রিলের ১ তারিখ থেকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বাবদ ৬৬ হাজার টাকা খরচের কথা বলা হয়। এরপর ২৮ নভেম্বর শনিবার সকাল সাড়ে ১০ টায় হাসপাতাল চত্বরে এ প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শামীমা শিরিন। সমাবেশে প্রথমে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও ডা. সুলতান আহমেদ গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদটি মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন উল্লেখ করে বক্তব্য শেষ করেন। এসময় গণমাধ্যমকর্মীরা করোনাকালে যেসব ‘চিকিৎসক-নার্স হোটেলে অবস্থান করেছেন’ এমন কাউকে বক্তব্য দেয়ার জন্য অনুরোধ করেন। এরপর হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসকদের ডাকাডাকি করা হয়। কিন্তু ‘হোটেলে অবস্থান করেছেন’ এমন কেউ বক্তব্য দিতে আসেননি। এরপর দীর্ঘণ সাংবাদিকরা দাঁড়িয়ে থাকলেও চিকিৎসকরা সমাবেশস্থল ত্যাগ করেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here