বাঘারপাড়ায় নির্বাচনী সহিংসতায় আওয়ামী লীগকর্মী নিহতের ঘটনায় ১৭ জনকে আসামি করে মামলা

0
246

বাঘারপাড়া (যশোর) প্রতিনিধি : বাঘারপাড়ায় নির্বাচনী সহিংসতায় নৌকা প্রতীকের কর্মী খালেদুর রহমান টিটো হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। স্বতন্ত্র প্রার্থী দিলু পাটোয়ারী ও তার ভাই নূর মোহাম্মাদ পাটোয়ারিকে প্রধান করে ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে মামলায় আসামি করা হয়েছে। মামলার তিন নং আসামি হচ্ছেন বাঘারপাড়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ। মামলার অপর আসামিরা হলেন হলদা গ্রামের উজির খালাসীর ছেলে শরিফুল, বেতালপাড়া গ্রামের ছুরমান মোল্যার ছেলে মনিরুল কানা, একই গ্রামের এজের আলীর ছেলে সাইদ, মৃত মুনসুর বিশ্বাসের ছেলে আসাদ, শাহ আলমের ছেলে বাবু, সামছুর বিশ্বাসের ছেলে বাবু, জয়নালের ছেলে শাহিনুর, হুলিহট্ট্র গ্রামের নাজমুল হুদার ছেলে মাসুদ হোসেন, মোক্তার মোল্যার ছেলে আজিম, আবু তাহেরের ছেলে জসিম, গরিবপুর গ্রামের মৃত দলিল উদ্দিন মুন্সির ছেলে রেজাউল মুন্সি, নলডাঙ্গা গ্রামের বাকীবিল্লাহর ছেলে আতাউল্লাহ সোহান, যশোর কোতয়ালী থানার ফুলবাড়িয়া গ্রামের লুৎফর রহমানের ছেলে আমিনুর রহমান, যশোর সদরের পুরাতন কসবা (কাজীপাড়া) এলাকার মৃত সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে স¤্রাজ। মামলার এজাহারে অজ্ঞাত আরো ২০-৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে। নিহতের ভাই বদর উদ্দিন বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার রাতে বাঘারপাড়া থানায় এ মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজাহারে উল্যেখ করা হয়েছে, আওয়ামী লীগ কর্মী খালেদুর রহমান টিটো উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদের উপ-নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের কর্মী হয়ে কাজ করছিলেন। বুধবার রাতে টিটো, তার ভাই মামলার বাদি বদর উদ্দীন ও তার চাচা ইন্তাজ উদ্দীন বেতালপাড়া বাজারে যাচ্ছিলেন। কালাম সরদারের চায়ের দোকানে পাশে পৌছালে আনারস প্রতীকের প্রার্থী দিলুর সন্ত্রাসি বাহিনী টিটোর উপর হামলা চালায় । এতে গুরতর আহত হয় টিটো। খবর পেয়ে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। অবস্থা গুরতর হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক রাতেই তাকে ঢাকায় রেফার করেন। ঢাকায় নেওয়ার পথে পরদিন বৃহস্পতিবার সকাল নয়টায় এম্বুলেন্সের ভেতর টিটোর মৃত্যু হয়। মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা এসআই শেখ আনসার আলী জানিয়েছে, মামলার নয় নম্বর আসামী বাবুকে আটক করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিদের ধরার অভিযান চলছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here