বেনাপোল থেকেএনামুলহকঃযশোরের বেনাপোলে সারাদেশের ন্যায় বিনম্র শ্রদ্ধা ও জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের নানাভাবে স্বরণের মধ্য দিয়ে বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনা এবং যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস উদযাপন হয়েছে। এ উপলক্ষে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংবাদিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠন বিজয়ের আনন্দে সামিল হয়।
বুধবার (১৬ ডিসেম্বর) সূর্যোদয়ের আগে যথাযোগ্য মর্যাদায় বেনাপোল কাগজ পুকুর বাজারে অবস্থিত শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধাঞ্জলির মাধ্যমে বিনম্র শ্রদ্ধা ও নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বিজয় দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়। এ লক্ষ্যে শার্শা উপজেলার বিভিন্ন শহীদ বেদিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ, বিজয় দিবসের আলোচনা, কুচকাওয়াজ ও র্যালিসহ বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলার আয়োজন করা হয়। দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে শার্শা উপজেলাবাসী যেমন মেতেছেন বিজয়ের আনন্দে, তেমনি বিনম্র শ্রদ্ধায় স্মরণ করছেন একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের। বুধবার প্রথম প্রহরেই বেনাপোলের প্রতিটি শহীদ মিনারে মানুষের ঢল নামে।
সকাল ৮ টার সময় প্রেসক্লাব বেনাপোলের সকল সাংবাদিকরা বেনাপোল কার্যালয় থেকে যশোর-বেনাপোল মহাসড়ক দিয়ে একটি র্যালি বের করে বেনাপোলের কাগজপুকুরে অবস্থিত স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধাঞ্জলির মাধ্যমে বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বিজয় ছিনিয়ে আনা সকল শহীদদের প্রতি।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে বিশেষ দিন হিসেবে প্রতি বছর ১৬ ডিসেম্বর রাষ্ট্রীয়ভাবে দেশের সর্বত্র পালন করা হয়। ১৯৭২ সালের ২২ জানুয়ারি প্রকাশিত এক প্রজ্ঞাপনে এই দিনটিকে বাংলাদেশে জাতীয় দিবস হিসেবে উদযাপন করা হয় এবং সরকারীভাবে এ দিনটিতে ছুটি ঘোষণা করা হয়। ৯ মাস যুদ্ধের পর ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পাকিস্তানী বাহিনীর প্রায় ৯১,৬৩৪ সদস্য বাংলাদেশ ও ভারতের সমন্বয়ে গঠিত যৌথবাহিনীর কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণ করে।
এর ফলে পৃথিবীর বুকে বাংলাদেশ নামে একটি নতুন স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্রের অভ্যুদয় ঘটে। ভারতেও এই দিনটি বিজয় দিবস হিসেবে পালিত হয়ে থাকে।
১৬ ডিসেম্বর ভোরে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের সূচনা ঘটে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে যারা নিহত হয়েছেন তাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের অংশ হিসেবে দল বল নির্বিশেষে নেতা-কর্মী, বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের মানুষ পুষ্পস্তবক অর্পণ করে থাকেন।