স্টাফ রিপোর্টার : যশোর মণিরামপুরের সমলডাঙ্গা বিলে চাঁদার দাবিতে গুলিকরে হত্যা চেষ্টার মামলায় সন্ত্রাসী দেবু সরকার ওরফে দেবু মেম্বরসহ ১০ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দিয়েছে ডিবি পুলিশ। মামলার তদন্ত শেষে আদালতে এ চার্জশিট জমা দিয়েছেন ডিবি পুলিশের এসআই ইব্রাহিম হোসেন। অভিযুক্ত আসামিরা হলো মণিরামপুরের কুমারসীমা গ্রামে জনার্ধন সরকারের ছেলে দেবু সরাকার ওরফে দেবু মেম্বর, সুবলকাঠি গ্রামের ছন্নোত আলীর ছেলে জনি, মোতালেব বিশ্বাসের ছেলে জিকো হোসেন, ভোমরদাহ গ্রামের কায়েম গাজীর ছেলে মাসুদ হোসেন, পাঁচবাড়িয়া গ্রামের তপন মল্লিকের ছেলে সুরঞ্জিত মল্লিক, শংকর সরকারের ছেলে শৈলেন সরকার, ইত্যা গ্রামের আব্দুল করিমের ছেলে সাইফুল ইসলাম, নেবুগাতি গ্রামের মৃত গোবিন্দ মন্ডলের ছেলে তাপস মন্ডল, জীবন বিশ্বাসের ছেলে পাইচো বিশ্বাস পাঁচু ও অভয়নগরের আন্ধা গ্রামের গনেশ মল্লিকের ছেলে দিপংকর। ঠিকানা না পাওয়ায় মহিতোষ সকরারের অব্যহতির আবেদন করা হয়েছে চার্জশিটে।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, মণিরামপুরের শ্রীপুর গ্রামের মণিরুজ্জামান সমলডাঙ্গা মাঠের পানি নিস্কাশন করার জন্য জমির মালিকদের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়। চলতি বছরের ২২ জানিুয়ারি তিনি সেচ পাম্প দিয়ে বিলের পানি নিস্কাশনের কাজ শুরু করেন। এমধ্যে মনিরুজ্জামানের মিস্ত্রী আবুল হোসেনের মোবাইল ফোনে অপরিচিত ব্যক্তি ফোন দিয়ে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। আবুল হোসেন বিষয়টি মনিরুজ্জামানকে জানালে তিনি চাঁদা দিতে অস্বীকার করেন। ৩১ জানুয়ারি রাতে মনিরুজ্জামান ও তার শ্যালক জাহিদুল খালপাড়ের টোং ঘরে ঘুমিয়ে পড়েন। গভীর রাতে একদল সন্ত্রাসী খালের পশ্চিম পাড়ে এসে তাদের ঘুম থেকে ডেকে ওঠায়। এরপর তাদের দাবিকৃত চাঁদার টাকা না দেয়ায় গুলি করে। গুলিতে মনিরুজ্জামান ও জাহিদুল গুরুতর আহত। সন্ত্রাসীর এ সময় টোংঘরে আগুন লাগিয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় মনিরুজ্জামানের ভাই শিকদার হোসেন বাদী হয়ে চাঁদা দাবি ও হত্যা চেষ্টার অভিযোগে মণিরামপুর থানায় মামলা করেন। এছাড়া অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় আলাদা মামলা হয়। আটকৃতদের আদালতে সোপর্দ করা হলে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেয়। এ মামলার তদন্ত শেষে আটক আসামিদের দেয়া তথ্য ও স্বাক্ষীদের বক্তব্যে ঘটনার সাথে জড়িত থাকায় ওই ১০ জনকে অভিযুক্ত আদালতে চার্জশিট জমাদেন। অভিযুক্ত শৈলেন ও দিপংকরাকে পলাতক দেখানো হয়েছে। অস্ত্র মামলায়ও এরআগে আটককৃতদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।