জসিম উদ্দিন, শার্শা : সারা দেশের ন্যায় যশোরের শার্শায়ও কিছুটা জেঁকে বসেছে শীত। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্তই শীত অনুভুত হচ্ছে। অগ্রহায়ণের শেষ দিক থেকে শীতকে যেনো বরণ করে নিয়েছে প্রকৃতি।
ষড়ঋতুতে পৌষ ও মাঘ মাস শীতকাল। অগ্রহায়ণের বিদায় নিয়ে শুরু হয়েছে শীতের মাস পৌষের। শীতের প্রস্তুতি সারতে অনেক মানুষ আগেভাগেই কিনে রাখেছেন নিজের শীত নিবারণের পোশাকটি।
আর জেলা উপজেলা পর্যায়ের কাপড় ব্যবসায়ীরা নিজেদের দোকান সাজাতে পাইকারি ও খুঁচরা দোকানীদের তোড়জোড় বাড়িয়ে পণ্য কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। করোনা কালিন দ্বিতীয় ঢেউ এর মধ্যেই শীত বস্ত্রের বাজারও যেনো জমজমাট হয়ে উঠেছে।
ফুটপাত ও বিভিন্ন কাপড়ের দোকান ঘুরে দেখা যায়, সব ধরণের শীতের কাপড়ই বিক্রি হচ্ছে। ২০ টাকার মোজা থেকে শুরু করে নানান রকম দামের মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে সোয়েটার, জ্যাকেট, চাদর, কানটুপি, হাতমোজা, পা মোজাসহ শীতের নানা বস্ত্র।
ব্যবসায়ীরা জানান, শীত ও শৈত্য প্রবাহ হলে গরম কাপড়ের কদর বেড়ে যাবে। তাদের ধারণা করোনা দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আসলে ব্যবসা ভালো হবে।
শীতবস্ত্রের ব্যাপক পসরা সাজিয়ে বসা দোকানীরা মেয়েদের কার্ডিগান ও ছেলেদের জন্য সোয়েটার, জ্যাকেট, ব্লেজার, ট্রাউজার, চাদর, সায়েটারসহ নানা ধরণের শীত বস্ত্র বিক্রি করছে। ফূটপাতে যারা অন্য পণ্য বিক্রি করতেন তারাও শীতের কারনে শীতবস্ত্র বিক্রি শুরু করেছেন।
নতুন কাপড়ের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় পুরনো কাপড় দোকানের দিকে ক্রেতারা ঝুঁকে পড়েছে। ফুটপাতের দোকানগুলি থেকে নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারের লোকজন এসব কাপড় ক্রয় করছেন।
ফুটপাতের কম মুল্যের এসব দোকানগুলিতে বেচাকেনা বেশ জমে উঠায় একদিকে ক্রেতারা কম মূল্যে সহজে শীতের কাপড় পাচ্ছেন, অন্যদিকে বিক্রেতারাও লাভের মুখ দেখছেন।