“তালার টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজের এডহক কমিটি কর্তৃক অনিয়মভাবে পদোন্নতি দেওয়ার অভিযোগ

0
285

শেখ আব্দুল মজিদ, তালা থেকে ফিরে, চুকনগর, খুলনা ঃ তালা উপজেলার জাতপুর টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজে সরকারী বিধি বিধান অমান্য করে এডহক কমিটির সভায় পদোন্নতি প্রদান করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ২৮/১০/২০২০ তারিখে সকাল ১০ টায় তালা উপজেলার নির্বাহী অফিসার মোঃ ইকবাল হোসেন তার কার্যালয়ে এডহক কমিটির সভায় সরকারী বিধি বিধান অমান্য করে জি এম ফৈজুর রহমান, প্রভাষক-কম্পিউটার অপারেশন ও এস এম শফিকুল ইসলাম প্রভাষক-ব্যবস্থাপনাকে অবৈধভাবে সহকারি অধ্যাপক পদে পদোন্নতি প্রদান করেছে বলে জানা যায়। বেসকারী কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চাকুরি প্রবিধানমালা, ১৯৯৬ এর প্রবিধান ৩(১) অনুযায়ী নিয়োগ দুই প্রকার-(ক) সরাসরি নিয়োগ (খ) পদোন্নতির মাধ্যমে নিয়োগ। শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের “স্মারক নং শিম/মাঃ ১১/১০-১১/২০০৯/১৭১, তারিখ ১২/০৪/২০১১ প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে “এডহক কমিটি শিক্ষক/কর্মচারী নিয়োগ প্রক্রিয়া সংক্রান্ত কোন কার্যাবলী সম্পন্ন করতে পারবে না।” এছাড়াও ২০১৮ সালে সর্বশেষ এমপিও নীতিমালার ১৪/৩ এ উল্লেখ রয়েছে “এমপিও ভূক্তি ০৮ বছর পূর্তিতে প্রভাষকগণ ৫:২ অনুপাতে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে সহকারি অধ্যাপক পদে পদোন্নতির যোগ্য বলে বিবেচিত হবে।” কলেজে প্রভাষকগণের (৫:২) অর্থাৎ ০৭ জনের এমপিওভূক্তির বয়স ০৮ বছর হয়নি। তবুও এডহক কমিটির সভায় প্রভাষক, জি এম ফৈজুর রহমান ও প্রভাষক এস, এম শফিকুল ইসলামকে পদোন্নতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত করেছেন। এ ব্যাপারে কলেজের স্থায়ী দাতা সদস্য মোঃ শহীদুল্লাহ ওসমানী বাদী হয়ে গত ৩০/১১/২০২০ তারিখে তালা সহকারী জজ আদালত সতাক্ষীরাতে এডহক কমিটির অবৈধ সিদ্ধান্ত বাতিল চেয়ে একটি দেওয়ানী মামলা করেন যার নং ৯৪/২০২০। এ ছাড়াও উক্ত কলেজের দাতা প্রতিষ্ঠাতা ও শিক্ষক কর্মচারীরা এ প্রতিবেদককে জানান ব্যবস্থাপনার প্রভাষক এস এম শফিকুল ইসলাম ২৮-০৮-২০০২ সালে দৈনিক পূর্বাঞ্চল প্রত্রিকায় প্রকাশিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির আলোকে নিয়োগ প্রাপ্ত হয়ে অত্র কলেজে ০৬-১১-২০০২ তারিখে যোগদান করেন। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির নির্দেশনা অনুযায়ী প্রভাষক-ব্যবস্থাপনা পদের জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে দ্বিতীয় শ্রেণীর অনার্সসহ দ্বিতীয় শ্রেণীর ¯œাতকোত্তর ডিগ্রীর বিধান থাকলেও তিনি অনার্স পাশ করে প্রভাষক ব্যবস্থাপনা পদে অবৈধ নিয়োগ প্রাপ্ত হন এবং তার ¯œাতকোত্তরের ফল প্রকাশিত হয় ০৬-০৩-২০০৩ তারিখে। জি এম ফৈজুর রহমান, প্রভাষক-কম্পিউটার অপারেশন, অত্র কলেজে এমপিও ভূক্ত প্রভাষক অবস্থায় ব্যবস্থাপনা কমিটির অনুমতি গ্রহণ না করে আইন কোর্স সমাপ্ত করে খুলনা জজ কোর্টের এ্যাডভোকেট হিসাবে কাজ করে আসছেন এবং এই অনিয়মের বিষয়টি নিয়ে কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। অভিভাবক ও এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্যে চলছে নানা গুঞ্জন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here