স্টাফ রিপোর্টার : যশোরে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রæতি দিয়ে দুই ব্যক্তিকে জাল নিয়োগপত্র প্রদানের অভিযোগে গালফ সিকিউরিটি সার্ভিস (প্রাইভেট) লিমিটেডের ক্যাশিয়ারসহ তিন জনের বিরুদ্ধে সোমবার আদালতে পৃথক দুইটি মামলা হয়েছে। জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. সাইফুদ্দীন হোসাইন অভিযোগ দুটি আমলে নিয়ে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে আদেশ দিয়েছেন।
একটি মামলার বাদী যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল এলাকার মৃত সখি চাঁদের ছেলে আব্দুর রহমান সাগর এবং অপর মামলার বাদী সদর উপজেলার কামারগন্না গ্রামের মো. সোহরাব উদ্দীনের ছেলে অহিদুজ্জামান।
আসামিরা হলেন, রাজধানী ঢাকার লেক সার্কাস রোড কলাবাগান এলাকার গালফ সিকিউরিটি সার্ভিস (প্রাইভেট) লিমিটেডের ক্যাশিয়ার ইমরান হোসেন মামুন, ফরিদপুরের গোরদা খালেক বাজার এলাকার আনোয়ার হোসেনের ছেলে সংস্থার মাঠকর্মী সাহেদ হোসেন সাঈদ এবং ঝিনাইদহ সদরের হালিধানী এলাকার বাসিন্দা সংস্থার মাঠকর্মী শমসের আলী।
অহিদুজ্জামানের অভিযোগ, গালফ সিকিউরিটি সার্ভিস (প্রাইভেট) লিমিটেডের মাধ্যমে যশোর সিভিল সার্জন অফিসে এটেনডেন্ট চাকরি পাওয়ার জন্য যোগাযোগ করেন। আসামিরা তাকে চাকরির মৌখিক নিশ্চয়তা দিয়ে ২০১৯ সালের ১ জানুয়ারি তার কাছ থেকে আড়াই লাখ টাকা নেন। এরপর একই বছরের ১৯ জানুয়রি তাদের প্রতিষ্ঠানের প্যাডে তাকে একটি সাময়িক নিয়োগপত্র প্রদান করা হয়। পরে তিনি ওই নিয়োগপত্র নিয়ে যশোর সিভিল সার্জন অফিসে যোগদান করতে যান। এ সময় সিভিল সার্জন অফিস থেকে তাকে বলা হয়, নিয়োগপত্রটি জাল। ফলে তিনি আসামিদের বিষয়টি জানালে তারা বিভিন্ন অসুবিধার কথা জানিয়ে এক মাসের মধ্যে সঠিক নিয়োগপত্র প্রদানের প্রতিশ্রæতি দেন। কিন্তু এক মাস পার হয়ে গেলেও তারা তাকে সঠিক নিয়োগপত্র দেননি, তার কাছ থেকে নেয়া টাকাও ফেরত দেয়া হয়নি। তারা তাকে নানাভাবে ঘোরাতে থাকেন।একর্পায় টাকা দিতে তারা অস্বীকার করেন। ফলে কোনো উপায় না পেয়ে তিনি আদালতে মামলা করেছেন।
অন্যদিকে আব্দুর রহমান সাগরের অভিযোগ, আসামিরা তাকে মহিলা বিষয়ক অধিদফতরে অফিস এটেনডেন্ট পদে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রæতি দিয়ে ২০১৯ সালের ১ জানুয়ারি তার কাছ থেকে দেড় লাখ টাকা নেন। এরপর একই বছরের ৭ ফেব্রæয়ারি তাদের প্রতিষ্ঠানের প্যাডে তাকে একটি সাময়িক নিয়োগপত্র দিয়ে তাকে মহিলা বিষয়ক অধিদফতরে যোগদান করতে বলেন। কিন্তু তিনি মহিলা বিষয়ক অধিদফতরের যশোর অফিসে যোগদান করতে গেলে সেখান থেকে তাকে জানানো হয়, নিয়োগপত্রটি জাল। এরপর আসামিরা তাকে টাকা ফেরত না দিয়ে নানাভাবে ঘোরাতে থাকেন। এক পর্যায় আসামিরা টাকা ফেরত দিতে অস্বীকার করেন। ফলে কোনো উপায় না পেয়ে তিনি আদালতে মামলা করেছেন।
Home
খুলনা বিভাগ চাকরি দেওয়ার নামে জাল নিয়োগপত্র প্রদানের অভিযোগে গালফ সিকিউরিটি সার্ভিস (প্রাইভেট)...