জিএম অভি : যশোরের বেনাপোলে এনজিও কর্মি আল-আমিন হোসেন নয়ন হত্যাকান্ডের কারন উদঘাটন ও হত্যা কান্ডের দুই আসামি জহর আলী (৪৬) ও তার স্ত্রী কামরুন্নাহার কুটিলা(২৮)কে আটক করেছে জেলার গোয়েন্দা(ডিবি) পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার ভোর রাতে বেনাপোল দুর্গাপুর গ্রাম থেকে তাদের আটক করা হয়। আটক জহুর আলী দূর্গাপুর গ্রামের মৃত লোকমান মির্জার ছেলে এবং কামরুন্নাহার কুটিলা তার স্ত্রী। যশোর জেলার পুলিশ প্রধান মুহাম্মাদ আশরাফ হোসেন গতকাল ১টার দিকে পুলিশ সুপারের কনফারেন্স রুমে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে একথা বলেন। এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সালাউদ্দিন শিকদার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মুহাম্মাদ তৌহিদুল ইসলাম ও ডিবির ওসি সোমেন দাশ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। প্রেসব্রিফিংয়ে এসপি বলেন,গত ২৮ ডিসেম্বর গভির রাতে খুন হয় বেনাপোল দূর্গাপুর গ্রামের মৃত মিজানুর রহমানের ছেলে এনজিও কর্মি আল-আমিন হোসেন। নয়নের লাশ পাওয়া যায় তার বাড়ির পাশে। কে বা কারা নয়নকে গলায় রশি দিয়ে হত্যা করে ফেলে রেখে যায়। এঘটনায় বেনাপোল পোর্ট থানায় একটি হত্যা মামলা রুজু হয়। কুরেস হত্যার ঘটনা সে কারনে মামলাটি জেলার গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশকে তদন্তভার দেওয়া হয়। ডিবি পুলিশ অল্প সময়ের মধ্যে হত্যার কারন উদঘাটন করেন। এবং হত্যাকারি জহর আলী ও তার স্ত্রী কামরুন্নাহার কুটিলাকে আটক করেন।
তিনি বলেন, জহুর আলীর স্ত্রী কুটলার সাথে আল-আমিন নয়নের পরোকিয়া প্রেম ছিল। পরেকিয়া প্রেমের ঘটনা জহুর আলী জানতে পেরে আল-আমিনকে নিষেধ করা সত্তেও আল -আমিনকে থামানো যায়নি। সংসার টিকানোর সার্থে কুটিলা নিজের স্বামী জহুর আলীর সাথে পরিকল্পনা করে ওই রাতে প্রেমিক আল-আমিনকে বাড়ি থেকে ডেকে এনে দুইজন মিলে গলায় রশি দিয়ে পেচিয়ে ফাশ দিয়ে হত্যা করে। পরে হত্যার কাজে ব্যাবহৃত ফাশ দেওয়া দড়িটি ও পুড়িয়ে ফেলা হয়। পুলিশ ওই পোড়ানো দড়ির ছাই ,একটি কড়াইও তাদের ব্যাবহৃত দুইটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছেন।