ঢাল নেই তলোয়ার নেই, কিন্তু আমরা সর্দারি করতে চাই -আকবর হোসেন পাঠান ফারুক

0
467

বিনোদন ডেস্ক : বরেণ্য চিত্রনায়ক ও সাংসদ আকবর হোসেন পাঠান ফারুক। গত বছরের শেষের দিকে টিবি রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে গিয়েছিলেন। সেখানে চিকিৎসা শেষে দেশে ফেরার পর তার শারীরিক অবস্থা এখন আগের থেকে অনেকটাই ভালো। সব মিলিয়ে কেমন আছেন? ফারুক উত্তরে বলেন, আলহামদুলিল্লাহ।আল্লাহুর রহমতে ভালো আছি। নতুন বছর শুরু হয়ে গেছে। কী প্রত্যাশা থাকবে? ফারুক বলেন, যার আশা, ভরসা, চিন্তা থাকে, তার একটা প্রত্যাশাও থাকে। অনেক প্রত্যাশা ছিল। সত্যি কথা বলতে প্রত্যাশার জায়গাটাকে হারিয়ে ফেলেছি।
কারণ, এখন তো অন্য জগতে পা দিয়ে দিয়েছি। চলচ্চিত্র বানানোর চিন্তা ছিল মাথায়। সৃষ্টি করার অনেক ইচ্ছা ছিল। কিন্তু সেই ইচ্ছাটা পূরণ করতে পারবো বলে মনে হয় না। ব্যাক্তিগত ইচ্ছার কথা বললেন। এবার সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির মানুষের কাছে একজন সিনিয়র শিল্পী হিসেবে কী চাওয়া থাকবে? ফারুক বলেন, একটি প্রবাদ আছে, ঢাল নেই তলোয়ার নেই নিধিরাম সর্দার। আমাদের অবস্থাও এমন হয়েছে। ঢাল নেই তলোয়ার নেই, কিন্তু আমরা তো সর্দারি করতে চাই। এই যে আমরা সর্দারি করতে চাই, এটা বন্ধ করতে হবে। নিজেদের মধ্য বোঝাপড়াটা বাড়াতে হবে। সৃষ্টির দিকে মনোযোগ দিতে হবে। গত বছরের কথা বলতে গেলে যে সিনেমাগুলো হয়েছে সেগুলো তো সত্যিকার অর্থে কোনো সিনেমাই হয় নাই। এ কথা শোনার পর হয়তো আমার ওপর অভিমান করে অনেকে দু-একটা কথা বলে ফেলতে পারেন। তাতে সমস্য নেই। শুনতে শুনতে অভ্যাস হয়ে গেছে। এইচ আকবর পরিচালিত ‘জলছবি’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্র জগতে ফারুকের অভিষেক ঘটে। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার আগেই তিনি চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরু করেছিলেন। ১৯৭১ সালে মুক্তি পায় তার অভিনীত প্রথম এই সিনেমা। চলচ্চিত্রে আসার কারণ হিসেবে এই কিংবদন্তি অভিনেতা বলেন, ছাত্রলীগ করার কারণে তৎকালীন পাকিস্তান সরকার আমার বিরুদ্ধে ৩৭টি হয়রানিমূলক মামলা দায়ের করে। এসব মামলা থেকে বাঁচতে বন্ধুবান্ধবের পরামর্শে চলচ্চিত্রে আসি। এরপর থেকে তো এই জগতে স্থায়ী হয়ে গেলাম।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here