ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি,চুকনগর ॥ আঁঠারমাইলের মাগুরাঘোনা ইউনিয়নের ঘোষড়ার বিলে একাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে জমি লীজ চুক্তিপত্রের মাধ্যমে মৎস্য ঘের হারী নেয় তিন ব্যক্তি। কিন্তু এবছরের মাছ মেরে নিয়ে হারী পরিশোধ না করেই পালিয়েছে তারা। এভারে জমির হারী পরিশোধ না করে কাউকে কিছু না জানিয়ে তারা রাতের আঁধারে পালিয়ে যাওয়ায় জমির মালিকরা হতাশ হয়ে গেছে।
জানা যায়, ইউনিয়নের ঘোষড়া বিলে মৎস্য ঘের করার জন্য যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলার বুড়ুলিয়া গ্রামের মৃত আমীন মোড়লের পুত্র খলিলুর রহমান বাবু(৪০), সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার শিরাশুনি গ্রামের রওশন মোড়লের পুত্র আক্তারুজ্জামান মোড়ল(৩৫) ও ঝড়– মোড়লের পুত্র রওশন মোড়ল(৬২) ২০১৬সালে ঘোষড়া গ্রামে আসে। তারা ঐ গ্রামের প্রায় ৩৫জন ব্যক্তির কাছ থেকে লীজ চুক্তি পত্রের মাধ্যমে ১১বিঘা জমি হারী হিসাবে নেয়। যার হারির পরিমান প্রায় ১লক্ষ টাকা। একই গ্রামের আহম্মেদ আলী মোড়লের পুত্র ইসমাইল মোড়লের আর্থিক সমস্যার কারণে তার কাছ থেকে ২০১৯সালে হারীকৃত মৎস্য ঘেরটি মাছসহ ২লক্ষ ২০টাকায় ক্রয় করে উপরে উল্লেখিত ঐ তিন ব্যক্তি। ঘেরটি ক্রয় করার সময় নগত ১লক্ষ টাকা দেয় তারা। বাকী টাকা ঘের সেচে দিবে বলে ওয়াদা করে। এরপর ইসমাইলের কাছ থেকে নগত ২৫হাজার টাকা এবং মৃত সাহেবালী মোড়লের পুত্র আইয়ুব আলী মোড়লের কাছ থেকে নগত ৭৫হাজার টাকা হাওলাত হিসাবে নেয় তারা। কিছুদিন পর আইয়ুব মোড়লকে ২৫হাজার টাকা ফেরত দেয়। ইতিপূর্বে ঘের সেচার পর সকল হারী পরিশোধ করলেও এ বছর ঘের সেচে তারা কোন হারীর টাকা পরিশোধ না করে ও হাওলাত করা টাকা জমির মালিকদের না দিয়ে কারোর সাথে কোন আলোচনা ছাড়াই রাতের আঁধারে ঘের ফেলে রেখে পালিয়েছে। বর্তমানে তাদের মোবাইল ফোন বন্ধসহ তাদেরকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে জমির মালিকরা হারী না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে কয়েকজন হতদরিদ্র ব্যক্তি তাদের শেষ সম্বল টুকু হারি হিসাবে দিয়ে হারি না পেয়ে চরম হতাশ হয়ে পড়েছে।