আশাশুনিতে খাদ্য সংগ্রহ অভিযান একেবারেই ব্যর্থ হওয়ার আশঙ্কা, কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা

0
303

প্রভাষক শাহাদাৎ হোসেন টিটল, আশাশুনি (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি: আশাশুনিতে ২০২০-২১ অর্থবছরে সরকারের খাদ্য সংগ্রহ অভিযান একেবারেই ব্যর্থ হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। সরকার ঘোষিত অনুযায়ী দুই মাস অতিক্রান্ত হলেও খাদ্য সংগ্রহ অডিভযানে অদ্যবদি এক কেজি ধান বা চাউল সংগ্রহ হয়নি। গত বছরের ৭ নভেম্বর আশাশুনিতে খাদ্য সংগ্রহ অভিযান উদ্বোধন করেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর আলিফ রেজা। আশাশুনিতে এ বছর খাদ্য সংগ্রহের জন্য বরাদ্দ রয়েছে ধান ৩২৮ মেঃ টন এবং চাউল (সিদ্ধ) ৬৪ মেঃ টন ও চাউল (আতব) ২৪ মেঃ টন। ধানের ক্রয় মূল্য নির্দ্ধারণ করা হয় প্রতি কেজি ২৬ টাকা এবং সিদ্ধ চাউল প্রতি কেজি ৩৭ টাকা ও আতব ৩৬ টাকা। চাউল ক্রয়ের জন্য কৃষক বা চাষীদের তালিকা করা হয়। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ইতোমধ্যেই তালিকা প্রস্তুত করে লটারীর মাধ্যমে খাদ্য সংগ্রহনের জন্য কৃষক, চাষী ও মিলার নির্বাচন করেছেন। কিন্তু একজনও কৃষক, চাষী ও মিলার এক কেজি ধান বা চাউল সরবরাহ করেননি। বাধ্য হয়ে লটারীর তালিকা ছাড়াও যে কোন কৃষক বা চাষী ধান বিক্রয় করতে পারবেন ঘোষণা দিয়ে উপজেলার সকল ইউনিয়নে মাইকিং করা হয়। কিন্তু তাতেও কেহ কোন প্রকার ধান বিক্রয় করেনি। জানাগেছে, সরকারি খাদ্য গুদামে ধান বিক্রয় করতে গেলে উন্নতমানের ধান ও ধান খাদ্য গুদামে পৌছে দিতে হয়। আর বাইরে ধান বিক্রয় করতে গেলে সকল প্রকার ধান বাড়ি থেকেই বিক্রয় করা যায়। খাদ্য গুদামে ধানের মূল্য যেখানে প্রতি কেজি ২৬ টাকা, সাথে পরিবহন খরচ। সেখানে বাইরে বিক্রয় হচ্ছে প্রতি কেজি নি¤œমানের (জামাই বাবু) ধান ২৫.৫০ টাকা, আর ২৮ ধান ১৮/১৯ শত টাকা বস্তা দরে প্রতি কেজি ৩১.৬৬ টাকা দরে। ফলে কৃষকদের বাজারের থেকে কম মূল্যে লোকসানে খাদ্য গুদামে ধান দেওয়ার সুযোগ থাকছেনা। তাই এক কেজিও ধান সরকারীভাবে ক্রয় করতে পারেনি। এব্যাপারে আশাশুনি খাদ্য গুদামের ওসিএলএসডি আলতাফ হোসেন জানান, বাইরে ধানের মূল্যের তুলনায় সরকারি ক্রয় মূল্য কম থাকায় কৃষকরা ধান বা চাউল এখনো আমাদের কাছে বিক্রয় করেনি। এখনো ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ধান ও চাউল ক্রয় করা হবে। আশা করি এ সময়ের মধ্যে ধান ও চাউল ক্রয় করা সম্ভব হতে পারে। এ সমস্যা সমাধানে কৃষক বা চাষীরা উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। #

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here