মহেশপুর(ঝিনাইদহ)অফিসঃ সরকারী ম্যাপের রাস্তা বাদ রেখে আদালতের নিদের্শ অমান্য করে ক্ষমতার জোরে ব্যাক্তি মালিকানা জমির উপর দিয়ে পিচঢালা পাকা রাস্তা নির্মান করা হচ্ছে। এতে বাধা দেওয়ায় রাস্তার শ্রমিকরা শুকমনি বেগম (৪০) নামের এক গৃহবধুকে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে।
এ ঘটনাটি ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার নাটিমা ইউনিয়নের কুড়িপোল গ্রামে।
এলাকাবাসী জানান, নাটিমা বাজার থেকে সস্তা সড়কের ধারে কুড়িপোল গ্রামের মুনছুর আলীর মাত্র ৫ শতক জমি রয়েছে। মুনছুর আলী মারা যাওয়ার পর ওয়ারেশ সুত্রে তার ছেলে আব্দুল আজিজ এই জমির মালিক। মহেশপুর এলজিইডি অফিস সরকারী ম্যাপের রাস্তা বাদ রেখে আব্দুল আজিজের ৫ শতক জমির উপর দিয়ে কুড়িপোল গ্রামের রাস্তাটি নির্মান করছে।
কুড়িপোল গ্রামের সরজেদ আলী মন্ডল জানান, নিজেদের জমির উপর রাস্তা দিয়ে রাস্তা নির্মান কাজে বাধা দেওয়ায় রাস্তার শ্রমিক সর্দ্দার বাবুসহ কয়েক জনে আজিজের স্ত্রী শুকমনিকে পিটিয়ে আহত করে। তিনি আরো জানান,ইতি রাস্তা নিয়ে ঝামেলা হওয়ার কারনে ঝিনাইদহ বিজ্ঞ আদালতে জমির মালিক আব্দুল আজিজ একটি মামলা ৪৪ ধারা জারি করেন।
আজিজের স্ত্রী আহত শুকমনি বেগম জানান, আমাদের জমির উপর দিয়ে রাস্তা করার কাজে বাধা দিতে গেলে রাস্তার শ্রমিক সর্দ্দার বাবুসহ আরো কয়েক জন আমাকে মারধর করে।
জমির মালিক আব্দুল আজিজ জানান, কুড়িপোল গ্রামের রাস্তাটি আমার জমির উপর দিয়ে করার সময় আমি কয়েকবার বাধা দিয়েছি। কিন্তু তাতে কোন কাজ না হওয়ার কারনে আমি আদালতে মামলা করেছি। আদালত আমার জমির উপর দিয়ে রাস্তা নির্মান না করার জন্য আদেশও দিয়েছেন। তার পরও রাস্তার কাজের ঠিকাদার ক্ষমতার জোর দেখিয়ে রাস্তা নির্মান করার চেষ্টা করছে।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মালিক উজ্জল মিয়া জানান,টেন্ডারের মাধ্যমে আমি কুড়িপোল গ্রামের এক কিলোমিটারের রাস্তাটি পেয়েছিলাম। কাজও প্রায় শেষ পর্যায়ে। এখন গ্রামের আব্দুল আজিজ নামের এক ব্যাক্তি নিজের জমি দাবি করে আমার রাস্তা নির্মানের কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। তিনি আরো জানান, রাস্তাটি আগে হেরিং বন্ডের রাস্তা ছিলো। আমি সেটি তুলে নতুন ভাবে পিচ করনের কাজ করছি মাত্র।
রাস্তার কাজে নিযুক্ত মহেশপুর উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) অফিসের উপ-সহকারী প্রকৌশলী অভিজিৎ কুমার বিশ্বস জানান, আগে যে রাস্তা ছিলো আমরা সেখানেই পিচ করনের কাজ চলছে। কিন্তু জমির মালিকানা দাবি করে আজিজ নামের একজন রাস্তার মুখের কাজটি বন্ধ করে দিয়েছে। তিনি আরো জানান,ইউপি চেয়ারম্যান,ইউপি সদস্য ও এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিরা সবাই চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়ে গেছে। যার কারনে রাস্তার মুখের কাজটি আপাতত এখন বন্ধ রয়েছে।