শহিদুল ইসলাম, বাগআঁচড়া প্রতিনিধি।। :করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে বন্ধ হওয়া দেশের সবচেয়ে বড় যশোরের শার্শার বাগআঁচড়ার সাতমাইল পশু হাট স্বাস্থ্য বিধি মেনে আবারও চালু হয়েছে।
প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে সরকার গরু হাট চলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়াই বৃহস্পতিবার সকাল থেকে এ সর্ববৃহৎ পশুহাটটি স্বাস্থ্যবিধি মেনে আবারও চালু করে হাট কতৃপক্ষ। এদিকে চালুর পর উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা (ইউএনও) মীর আলিফ রেজা পশুহাট পরিদর্শন করেছেন।
সাতমাইল পশু হাট পরিচালনা কমিটির সদস্য মেম্বার আসাদুল ইসলাম জানান,প্রতি বছর যশোর এবং সাতক্ষীরা অঞ্চলের গরু ব্যবসায়ী ও খামারিরা অপেক্ষায় থাকেন কোরবানি এই সময়টার দিকে। সাতমাইলের হাট থেকে গরু কিনে ব্যবসায়ীরা সারাদেশে গরুর প্রায় অর্ধেক চাহিদা পূরণ করে থাকেন।
সপ্তাহের শনি ও মঙ্গলবার প্রতিদিন গড়ে কমপক্ষে ৫ হাজার গরু কেনাবেচা হয়ে থাকে এ হাটে। কোরবানির সময়ে এই সংখ্যা তিনগুণ পর্যন্ত বেড়ে যায়।
হঠাৎ দেশে করোনার এ ভয়াবহ সংক্রমণের মধ্যে ২৩ জুন সীমান্তবর্তী কয়েকটি জেলার পশুরহাট বন্ধ করা হলেও স্বাস্থ্যবিধি শতভাগ মেনে চলার শর্তে সাতমাইল গরুহাট পরিচালনার অনুমতি বহাল রাখে প্রশাসন।এদিকে উপজেলায় করোনায় আক্রান্ত ও মুত্যুর সংখ্যাও দিন দিন বাড়তে থাকে। এমন পরিস্হিতিতে অবশেষে ২৬ জুন জেলা প্রশাসনের নির্দেশে গরুর হাটটি বন্ধ করে দেয়া হয়।
সাতমাইল হাটের ইজারাদার আব্দুল খালেক খতিব ধাবক বলেন, ‘৬ কোটি ১৫ লাখ টাকা দিয়ে হাটটি ইজারা নিয়েছি। এর শেয়ার রয়েছে ৩ হাজার। প্রায় ১২০ জন লোক নিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরিচালনা করা হচ্ছে পশু হাট। করোনা জীবাণু যাতে হাটে প্রবেশ করতে না পারে তার জন্য প্রবেশদ্বারে রয়েছে স্বয়ংক্রিয় স্প্রে মেশিন। রয়েছে শতাধিক স্প্রে বোতল।’
তার দাবি করোনায় হাট বন্ধের ফলে প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ টাকা লোকসান হয়েছে। এখন কীভাবে সরকারের রাজস্বের ৬ কোটি টাকা পরিশোধ করব ভাবছি।পুনারাই হাট চালু হওয়াই ক্ষতি কিছুটা পোষানো যাই কিনা দেখা যাক বলে তিনি জানান।
এদিকে সকালে পশুহাট পরিদর্শন করেছেন উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা (ইউএনও) মীর আলিফ রেজা। এসময় নাভারন সার্কেল এসপি জুয়েল ইমরান, শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বদরুল আলম, বাগআঁচড়া পুলিশ তদন্ত ইনচার্জ ফরিদ ভুইয়া উপস্হিত ছিলেন।