প্রেস কাব যশোরের সাবেক সভাপতি মিজানুর রহমান তোতা আর নেই

0
258

স্টাফ রিপোর্টার ॥ প্রেস কাব যশোরের সাবেক সভাপতি ও দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকার বিশেষ সংবাদদাতা মিজানুর রহমান তোতা (৬৫) আর নেই (ইন্নালিল্লাহি … রাজিউন)। শনিবার সকাল ৭টার দিকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। গত ৩ জুলাই তিনি করোনায় আক্রান্ত ও ব্রেনস্ট্রোক নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালের চিকিৎসক আরিফুল ইসলাম জানিয়েছেন, সাংবাদিক মিজানুর রহমান করোনায় আক্রান্ত ছিলেন। এছাড়া তার মস্তিষ্কেও রক্তক্ষরণ হয়েছিল। তিনি হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি ছিলেন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে তিনি এক ছেলে, দুই মেয়ে, নাতি-নাতনিসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। শনিবার বাদ জোহর শহরের পালবাড়ি জামে মসজিদে নামাজে জানাজা শেষে খয়েরতলায় পারিবারিক কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়েছে। এর আগে সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠন তার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে। তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রেসকাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন, সম্পাদক আহসান কবীর, যশোর সংবাদপত্র পরিষদ সভাপতি একরাম উদ দ্দৌলা, সাধারণ সম্পাদক মবিনুল ইসলাম মবিন, যশোর সাংবাদিক ইউনিয়ন (জেইউজে) সভাপতি ফারাজী আহমেদ সাঈদ বুলবুল, সাধারণ সম্পাদক এইচ আর তুহিন, সাংবাদিক ইউনিয়ন যশোরের সভাপতি এম আইয়ুব, সাধারণ সম্পাদক আকরামুজ্জামান, যশোর জেলা সাংবাদিক ইউনিয়ন’র সভাপতি শেখ দিনু আহম্মেদ, সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান মোর্শেদ আলম, যশোর জেলা ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন’র সভাপতি মনিরুজ্জামান মুনির, সাধারণ সম্পাদক নূর ইমাম বাবুল প্রমুখ। নেতৃবৃন্দ মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। মিজানুর রহমান তোতা প্রায় ৪৫ বছর ধরে সাংবাদিকতা করেছেন। এর মধ্যে একটানা ৩৫ বছরই তিনি কাজ করেছেন দৈনিক ইনকিলাবে। তিনি একাধিক বার প্রেসকাব যশোরের সভাপতি, সম্পাদক এবং যশোর সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতিসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। পারিবারিক সূত্র জানায়, ১৯৭৭ সাল থেকে তিনি ছড়া, কবিতা ও সংবাদ লেখালেখিতে আত্মনিয়োগ করেন। ১৯৭৮ সালে দৈনিক গণকন্ঠের রিপোর্টার, সমাচারের স্টাফ রিপোর্টার, ১৯৭৯ সালে দৈনিক স্ফুলিঙ্গের স্টাফ রিপোর্টার, ১৯৮০ সালে পিআইবির লং কোর্সের প্রশিণ গ্রহণ, পরবর্তীতে দৈনিক স্ফুলিঙ্গের নিউজ এডিটর, দৈনিক ঠিকানায় এক্সিকিউটিভ এডিটর, দৈনিক আজাদের স্টাফ রিপোর্টার ও বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। এর মধ্যে সাপ্তাহিক ছুটি, সাপ্তাহিক পূর্ণিমায় খণ্ডকালীন লেখালেখিও করেছেন। পরবর্তীতে দৈনিক ইনকিলাবে একটানা ৩৫ বছরই তিনি কাজ করেছেন। সাংবাদিকতার ওপর তার ‘মাঠ সাংবাদিকতা’ এবং আত্মজীবনী গ্রন্থ ‘তবিত বিবেক’ নামের দু’টি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। পরবর্তীতে তার নির্বাচিত ৮০টি কবিতা নিয়ে ‘দিবানিশি স্বপ্নের খেলা’ কাব্যগ্রন্থটি প্রকাশিত হয়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here