যশোরে চাঞ্চল্যকর স্কুলছাত্র রাতুল হত্যাকান্ড শ্বশুরের অপমানের প্রতিশোধ নিতে শ্যালককে হত্যা

0
162

স্টাফ রিপোর্টার : যশোরের চৌগাছায় চাঞ্চল্যকর এহতেশাম মাহমুদ রাতুল হত্যাকা-ের রহস্য উদ্ঘাটন করেছে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। হত্যাকা-ের পাঁচদিনের মধ্যে জড়িত শিশির আহম্মেদকে (২১) গ্রেফতার করা হয়েছে। শিশির আহমেদ ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার কাশিপুর গ্রামের হায়দার আলী মন্ডলের ছেলে ও নিহত রাতুলের ভগ্নিপতি। শ্বশুরের অপমানের প্রতিশোধ নিতে ভগ্নিপতি শিশির কৌশলে ডেকে নিয়ে শ্যালক রাতুলকে হত্যা করেছে। যশোর ডিবি পুলিশের কর্মকর্তারা শনিবার দুপুরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে সাংবাদিকদের এমন তথ্য জানিয়েছেন।
যশোর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ইনচার্জ রুপন কুমার সরকার বলেন, গত সোমবার (১২ জুলাই) বিকালে যশোরের চৌগাছা লস্করপুরে পাট ক্ষেতের মধ্যে মুখে স্কচ টেপ মোড়ানো যে মৃতদেহটি পাওয়া যায়; সেটা পাশের ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুরের বাজিতপুর গ্রামের মহিউদ্দিনের ছেলে এহতেশাম মাহমুদ রাতুলের (১৮)। সে মহেশপুর সামবাজার এমপিবি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির ছাত্র ছিল। এ হত্যাকা-ের কোন কু ছিল না। হত্যাকা-ের একদিন পর মৃত ব্যক্তির খোঁজ মেলে। এরপর নিহতের বাবা মহিউদ্দিন মঙ্গলবার চৌগাছা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটির স্পর্শকতার হাওয়ায় যশোরের পুলিশ সুপার মামলাটির তদন্তভার দেন ডিবি পুলিশের এসআই শামীম হাসানের উপর। শামীম হাসান তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার করে শুক্রবার চট্টগ্রাম থেকে হত্যাকা-ে জড়িত শিশিরকে আটক করেন। নিহত রাতুলের বাবা মহিউদ্দিন বলেন, শিশির ৮ মাস আগে তার মেয়েকে গোপনে নিয়ে বিয়ে করে। এরপর থেকেই সে যৌতুকের দাবি করতে থাকে। কিন্তু বারবার বলি, আমরা এখনও যৌথ পরিবারে বসবাস করি। তাই তুমি নিজে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার চেষ্টা করো। আমাদের কাছ থেকে কিছু পেতে হলে, কিছুটা সময় লাগবে। সে ঢাকায় সিকিউরিটি গার্ডের কাজ করতো। কিন্তু তার লোভ লালসা ছিল খুব বেশি। এক পর্যায়ে সে কৌশলে আমার দশম শ্রেণি পড়ুয়া ছেলে এহতেশাম মাহমুদ রাতুলকে রোববার বাড়ি থেকে নিয়ে যায়। এরপর থেকে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। মঙ্গলবার ফেসবুক ও অনলাইন পত্রিকার মাধ্যমে জানতে পারি রাতুলকে মুখে স্কচটেপ মুড়িয়ে চৌগাছার পাট ক্ষেতে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
যশোর ডিবি পুলিশের এসআই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শামীম হাসান বলেন, রাতুল হত্যা মামলায় শিশির আহমেদকে আটক করা হয়। আসামির শ্বশুর একদিন তাকে বাড়িতে ডেকে এনে অপমান অপদস্থ করলে রাগে ােভে সেই থেকে তার একমাত্র ছেলেকে (ভিকটিম) মেরে ফেলার পরিকল্পনা করতে থাকে। হত্যাকা-ে ব্যবহৃত স্কচটেপ হ্যান্ড গ্লাভস তার বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়। সে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে প্রথমে তাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে আসা হয়। এরপর চৌগাছায় পাটেেতর ভেতরে নিয়ে কোমল পানীয়তে ঘুমের ওষুধ খাওয়ানো হয়। এরপর তার গায়ের জামা কাপড় কেটে তার হাত-পা বাঁধা হয়। এরপর তার মুখে স্কচটেপ পেঁচিয়ে হত্যা করা হয়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here