খোঁড়া দুই রাস্তায় ভোগান্তির শেস নেই হানুয়ারবাসীর

0
176

মেহেদী হাসান, মণিরামপুর \ যশোরের মণিরামপুরে খুঁড়ে রাখা দুটো রাস্তায় চলাচলে ভোগান্তিতে পড়েছেন পথচারীরা। রাস্তা দুটিতে কাদা হওয়ায় মাঠের ফসল তোলা নিয়ে বিপদে পড়েছেন স্থানীয়রা। উপজেলার ঝাঁপা ইউনিয়ের হানুয়ার গ্রামে রাস্তা দুটির অবস্থান। একটি রাস্তার দূরত্ব আধা কিলোমিটার। অন্যটির দূরত্ব হবে আড়াই কিলো। পাকা করণের উদ্দেশ্যে একমাস আগে রাস্তা দুটি খুঁড়ে বালি না দিয়ে ফেলে রাখা হয়েছে। ফলে কাদায় ভোগান্তিতে পড়েছেন গ্রামবাসী। স্থানীয়রা বলছেন, দীর্ঘদিনের দাবির প্রেতি ইউনিয়ের খালিয়া মাদ্রাসা মোড় হতে হানুয়ার পূর্বপাড়া জামে মসজিদ পর্যন্ত আধা কি.মি. এবং খালিয়ার মন্ডল পাড়ার মোড় হতে হানুয়ার বটতলা (গাজী পাড়া) মোড় পর্যন্ত আড়াই কি.মি. দুটি রাস্তার পাকা করণের উদ্দেশ্যে খুঁড়ে রাখা হয় গতমাসে। রাস্তা দুটো খোঁড়ার পর বালি না দেওয়ায় বৃষ্টিতে হাঁটু কাদা হয়েছে। ফলে গ্রামের মানুষকে চলাচলে বেগ পেতে হচ্ছে। মাঠের ফসল ঘরে তোলা নিয়েও চিন্তিত তাঁরা। দ্রুত বালি ফেলে রাস্তা দুটি চলাচলের উপযোগী করার দাবি এলাকাবাসীর। হানুয়ার গ্রামের পল্লি পশু চিকিৎসক বিল্লাল হোসেন বলেন, আমার বাড়ি থেকে খালিয়া মোড় আধা কিলো। খালিয়া গ্রামে আমার রোগী আছে। রাস্তাটি খুঁড়ে রাখায় নিয়মিত চার কি.মি. ঘুরে রোগী দেখতে যেতে হয়। খালিয়া মোড়ের দোকানি সবুজ হোসেনের বাড়ি হানুয়ার গ্রামে। তিনি বলেন, খোঁড়া রাস্তায় কাদা হওয়ায় প্রতিদিন আট কি.মি. পাড়ি দিয়ে দোকানে আসা যাওয়া করতে হয়। মো-ল পাড়ার সংকর কুমার বলেন, মাঠ ভরা পাট। এখন পাট কাটার সময়। পাট কেটে বাড়ি আনব কি করে তা বুঝতে পারতিছ নে। মাঠে সার ফেলতে গেলেও ভোগান্তিতে পড়তি হচ্ছে। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শামসুল হক মন্টু বলেন, ঠিকাদারের সাথে কথা হয়েছে। ঈদের পরে তিনি কাজ শুরু করবেন। রাস্তা দুইটির ঠিকাদার আবু সাইদ বলেন, আবহাওয়া ভাল হলে রাস্তায় বালি ফেলব। মনিরামপুর উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী সানাউল হক বলেন, রাস্তা দুটোর খারাপ অবস্থার কথা আমি জানি। ঠিকাদারকে বালি ফেলার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here