নড়াইলে মাদ্রাসা ও এতিমখানার মুহতামিমের বিরুদ্ধে শিশুদের বলাৎকারের অভিযোগ

0
241

নড়াইল প্রতিনিধি : নড়াইলের একটি মাদ্রাসা ও এতিমখানার মুহতামিমের বিরুদ্ধে শিশুদের বলাৎকারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগের সত্যতা দাবি করে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় ওই মাদ্রাসার সভাপতি তাৎণিক মাদ্রাসাটি বন্ধ করে দিয়েছেন। ভুক্তভোগী শিশুগুলোর অভিভাবকদের লিখিত অভিযোগ না থাকায় এখন পর্যন্ত আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া যায়নি। তবে মাদ্রাসাটির মুহতামিম তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ ষড়যন্ত্র দাবি করে পলাতক রয়েছেন। নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলায় প্রতিষ্ঠানটির নাম এগারো নলী দারুল কোরআন নুরানি ও হাফেজীয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানা। অভিযুক্ত মুহতামিমের নাম মো. জাহিদুল ইসলাম। স্থানীয়রা জানান, এলাকাবাসীর সহযোগিতায় ইসলামী শিা ও কোরআনে হাফেজ করার উদ্দেশ্যে লোহাগড়া উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল ২০১৭ সালে এগারো নলীতে গড়ে উঠে দারুল কোরআন নুরানি ও হাফেজীয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানা। প্রতিষ্ঠানটি গড়ে উঠার পর থেকে মুহতামিম হিসাবে কাজ করেন মো. জাহিদুল ইসলাম। হেফজখানা ও নুরানি বিভাগে ২০ জন করে ৪০ জন বিভিন্ন বয়সের ভিন্ন এলাকার শিশুরা ভর্তি হলেও তারা মূলত এলাকাবাসীর বাড়িতে খাওয়া-দাওয়া করে মাদ্রাসায় অবস্থান করে।মাদ্রাসাটির ছাত্র ও শিকদের অভিযোগ, মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার পর থেকে জাহিদুল ১০ থেকে ১২ বছরের শিশুদের বিশেষ করে দুপুরের খাবারের পর পা টেপার কথা বলে মাদ্রাসার মধ্যে বলৎকার করে। কোনো শিশু যাতে ঘটনা অন্যদের না বলে তার জন্য নির্যাতনের স্বীকার শিশুদের সকল শিশুদের সামনে প্রচ- প্রহার এবং জিনের ভয় দেখানো হয়। এদিকে এ ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় শুক্রবার (১৬ জুলাই) বিকালে মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে এলাকাবাসী মাদ্রাসা বন্ধ ঘোষণা করে। পরে তাৎনিক ছাত্রদের মাদ্রাসা ছেড়ে চলে যেতে বলেন মাদ্রাসার সভাপতি মো. ইউসুফ আলি। অপরদিকে মাদ্রাসার মুহতামিম মো. জাহিদুল ইসলাম তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, প্রতিষ্ঠানকে বন্ধ করতে তার বিরুদ্ধে এ মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে। ভুক্তভোগী ছাত্রদের অভিভাবকরা কোনো লিখিত অভিযোগ না দেওয়ায় লাহুড়িয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের আইসি কোনো বক্তব্য দেন নাই। প্রতিষ্ঠানটির নাম এগারো নলী দারুল কোরআন নুরানি ও হাফেজীয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানা। অভিযুক্ত মুহতামিমের নাম মো. জাহিদুল ইসলাম স্থানীয়রা জানান, এলাকাবাসীর সহযোগিতায় ইসলামী শিা ও কোরআনে হাফেজ করার উদ্দেশ্যে লোহাগড়া উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল ২০১৭ সালে এগারো নলীতে গড়ে উঠে দারুল কোরআন নুরানি ও হাফেজীয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানা। প্রতিষ্ঠানটি গড়ে উঠার পর থেকে মুহতামিম হিসাবে কাজ করেন মো. জাহিদুল ইসলাম।হেফজখানা ও নুরানি বিভাগে ২০ জন করে ৪০ জন বিভিন্ন বয়সের ভিন্ন এলাকার শিশুরা ভর্তি হলেও তারা মূলত এলাকাবাসীর বাড়িতে খাওয়া-দাওয়া করে মাদ্রাসায় অবস্থান করে। মাদ্রাসাটির ছাত্র ও শিকদের অভিযোগ, মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার পর থেকে জাহিদুল ১০ থেকে ১২ বছরের শিশুদের বিশেষ করে দুপুরের খাবারের পর পা টেপার কথা বলে মাদ্রাসার মধ্যে বলৎকার করে। কোনো শিশু যাতে ঘটনা অন্যদের না বলে তার জন্য নির্যাতনের স্বীকার শিশুদের সকল শিশুদের সামনে প্রচ- প্রহার এবং জিনের ভয় দেখানো হয়। এদিকে এ ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় শুক্রবার (১৬ জুলাই) বিকালে মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে এলাকাবাসী মাদ্রাসা বন্ধ ঘোষণা করে। পরে তাৎনিক ছাত্রদের মাদ্রাসা ছেড়ে চলে যেতে বলেন মাদ্রাসার সভাপতি মো. ইউসুফ আলি। অপরদিকে মাদ্রাসার মুহতামিম মো. জাহিদুল ইসলাম তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, প্রতিষ্ঠানকে বন্ধ করতে তার বিরুদ্ধে এ মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে।ভুক্তভোগী ছাত্রদের অভিভাবকরা কোনো লিখিত অভিযোগ না দেওয়ায় নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার লাহুড়িয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের আইসি কোনো বক্তব্য দিতে রাজি নারাজ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here