মহেশপুরে কামারশালায় নেই কোন ব্যস্ততা

0
155

মহেশপুর (ঝিনাইদাহ)অফিস ঃ ঈদ আসলেই যেন কামারদের বারতি আয় ও বেড়ে যায় কাজের ব্যস্ততা। ঢুক ঠাক শব্দ চলতে থাকে সারা দিন। বাড়তি কাজের চাপে তাদের নাওয়াÑখাওয়ার হয়না। কিন্তু এবার ঈদে ঝিনাইদহের মহেশপুরের কামারশালা গুলোতে প্রভাব পড়েছে মহামারী করোনার। দুদিন পরেই মুসলিম উম্মাহের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব,ঈদুল আযহা আর এ উৎসবকে সামনে রেখে দা,বটি,ছুরি-চাকু তৈরিতে এসময়টাতে কামারশালার কামারিরা ব্যস্ত সময় পার করার কথা থাকলেও তারা অলস সময় পার করেছ।এবার আর সেই চিরচেনা দৃশ্যটি চোখে পড়ছে না। করোনা মহামারীর কারণে কঠোর লকডাউন হওয়ায় দা,বটি, ছুরি-চাকুর চাহিদা আগের মতো তেমনটি নেই। করোনা পরিস্থিতিতে কোরবানীর পশু কেনা নিয়েই এবার কোন সাড়া নেই লোকজনের মাঝে। তাই কামারপাড়ায় দা-ছুরি তৈরি করানোর বাড়তি উচ্ছাসও চোখে পড়ছে না। এক রকম বেকারত্ব সময় পাড় করছেন কামাররা। তাই তাদের চোখে-মুখে হতাশার ছাপ ফুটে উঠেছে। মহেশপুর চৌগাছা বাস স্টান্ডের জামে মসজিদের সামনে,কামারশালার দোকানের মালিক কার্তিক কর্মকার জানান,এই পেশা আমার বাপ দাদার কাছ থেকে পেয়েছি। প্রতি কোরবানির ঈদের এক মাস পূর্ব থেকে ছুরি-চাকু বিক্রি হওয়ার কথা। কিন্তু তৈরি করে রাখা ছুরি-চাকু বিক্রি হচ্ছে না তেমন একটা। তারপরও এখনও আশায় বসে আছি। বসে থাকলে তো আর চলবে না। পৌর এলাকার চড়কতলা মোড়ের কামার শ্রী রতন কুমার বলেন,পুরো বছরের মূল রোজগার হয় এই কোরবানি ঈদে। কিন্তু গত ঈদ থেকে ছুরি-চাকু বিক্রি নেই বললেই চলে। তবু বিক্রির আশায় ঘুম নষ্ট করে জিনিসপত্র তৈরি করে রাখছি। তিনি আরও বলেন,বর্তমানে ভালমানের লোহা পাওয়া কঠিন। লোহার দরও বেড়েছে। সেই তুলনায় জিনিস বিক্রি করা কঠিন হচ্ছে। যাই হোক,আশা ছাড়ছি না।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here