মোংলা প্রতিনিধি : সুন্দরবনে দস্যুতা ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা ২৮৪ বনদস্যু পরিবারের মাঝে ঈদ শুভেচ্ছা সামগ্রী বিতরণ করেছে র্যাব-৮। রোববার দুপুরে মোংলাসহ বাগেরহাটের ভাঙ্গা বাজার ও সাইনবোর্ড, খুলনা, সাতীরা এবং মুন্সিগঞ্জ এলাকায় পৃথকভাবে এ ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হয়। মোংলায় ঈদুল আযহা’র ঈদ শুভেচ্ছা উপহার সামগ্রী বিতরণের সময় রাব-৮ এর উপ-অধিনায়ক মেজর মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, আতœসমর্পণকারী বনদস্যুদের প্রতি সরকারের আন্তরিকতা এবং সার্বিক খোজ খবর রাখার অংশ হিসেবে এসব সামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে। এ সময় তার সাথে র্যাব-৮ এর সিপিএসসি কোম্পানির অধিনায়ক মেজর মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম সহ র্যাব’র অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। ঈদ উপহার বিতরণ করা সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে, চাল, ডাল, আলু, পেয়াজ, সেমাই, চিনি, সয়াবিন তেলসহ ৭ ধরনের দ্রব্য ও নগদ অর্থ প্রদান করা হয়।
২০১৮ ও ২০১৯ সালে সুন্দরবনে দাপিয়ে বেড়ানো ২৭টি জল ও বন দস্যু বাহিনী কয়েক ধাপে র্যাবের কাছে আতœসমর্পণ করেন। এরপর সরকার আতœসমর্পণকারী বনদস্যুদের পূনর্বাসনের মাধ্যমে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু করে। বর্তমানে দক্ষিনাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় তারা সুন্দর ও স্বাভাবিক জীবন যাপন করছে বিপদের পদ থেকে ফিড়ে আসা বনের দস্যুরা। উপ-অধিনায়ক আরো বলেন, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ২০১৮ সালের ১ নভেম্বর জল ও বন দস্যু মুক্ত সুন্দরবন ঘোষণা করেন। এখন শান্তির সু-বাতাস বইছে সুন্দরবন জুড়ে। মুক্তিপন, অপহরণ-হত্যা এখন তিরোহিত। বনের উপর নির্ভশীল জেলেদের কষ্টার্জিত উপার্জনের ভাগও কাউকে দিতে হচ্ছে না। বাওয়ালী, মৌওয়ালী, বনজীবী, বন্যপ্রাণী এখন সবাই নিরাপদ। দেশের সম্পদ সুন্দরবনকে দেখতে নির্ভয়ে নির্বিঘ্নে আসছে দর্শনার্থী- পর্যটক, পর্যবেক এবং দেশী-বিদেশী বানিজ্যিক জাহাজের বণিকেরা। এভাবেই সরকারের দূরদর্শিতায় সুন্দরবন কেন্দ্রিক অর্থনৈতিক গতিশীলতার ব্যাপক সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হয়েছে। দিক নির্দেশনা ও পৃষ্ঠপোষকতা এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রত্য তত্ত্ববাবধান ও র্যাবের সক্রিয় অংশগ্রহণে আজ বন ও জলদস্যু মুক্ত সুন্দরবন।