মহম্মদপুর কাঁচাবাজারে মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি, গায়ে গা ঘেঁষে চলছে কেঁনাকাটা

0
182

মুরাদ হোসেন, মহম্মদপুর (মাগুরা) থেকে : করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় দেশব্যাপি চলছে কঠোর লকডাউন। সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধ বাস্থবায়নে মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার মোড়ে মোড়ে আইনশৃঙ্খা রক্ষাকারী বাহিনীর চেকপোষ্ট। উপযুক্ত প্রমাণ বা জরুরি প্রয়োজনীয় কাজ দেখিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে জনসাধারণকে। কিন্তু ব্যতিক্রম কাঁচাবাজারে। নেই সেখানে স্বাস্থ্যবিধির বালাই। ক্রেতারা মানছেন না সামাজিক দূরত্ব। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে গায়ের সাথে গা ঘেঁষে চলছে কেনাকাটা।
উপজেলা সদর কাঁচা বাজারে বেশ কিছু সময় ধরে অবস্থান করে দেখা যায়, বিক্রেতা এবং ক্রেতার অনেকের মুখে মাস্ক নেই। আবার কারো কারো মাস্ক পকেটে রয়েছে। এমনই একজন মাছ বিক্রেতা রমেশের মুখে মাস্ক না দেখে জিজ্ঞাসা করতেই পকেট থেকে মাস্ক বের করে মুখে দেয়। এভাবেই ফল ব্যবসায়ী, সবজি বিক্রেতা পান বিক্রেতা সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে বাজার করতে আসা অনেক ক্রেতার মুখেও মাস্ক দেখা যায়নি। থাকলেও থুতুর নিচেই নামিয়ে রেখে গায়ে গা ঘেঁষে বেঁচা কেনা করছে।
চৌদ্দ দিনব্যাপি কঠোর লকডাউন শুরু হয়েছে ২৩ জুলাই থেকে। ঈদের আগে চৌদ্দ দিন লকডাউন দেওয়া হলেও ঈদের কারণে এক সপ্তাহ সেই কঠোর লকডাউন শিথিল করা হয়েছিল। পরে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আশায় আবার চেীদ্দ দিনের কঠোর লকডাউন দিয়েছে সরকার। কিন্তু দিন যত যাচ্ছে উপজেলা সদর সহ ইউনিয়ন পর্যায়ের হাট-বাজার, পাড়া-মহল্লা ও সড়কে মানুষের চলাচল ততই বাড়ছে। বিভিন্ন ইউনিয়ন ঘুরে এমনই দূশ্য চোখে পড়ে। ঈদের কারণে লোকজনের চলচলা বেড়েছে বলেও অনেকেই ধারণা করছেন।
বাজার করতে আসা মতিয়ার নামের একজন দিনমুজুর বলেন করোনায় আমাগের কিছুই হবে নানে। আমরা মাঠে-ঘাটে কাজ করা মানুষ আমাগের কি হবি।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রামানন্দ পাল জানান, বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে কঠোর অবস্থানে প্রশাসনের সাথে রয়েছে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও আনসার বাহিনী। আর জনস্বার্থেই এ ধরণের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তবে মানুষের যাতে কোনো প্রকার সমস্যা না হয় সে জন্য কাঁচা বাজারসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দোকানপাঠ বিকাল তিনটা পর্যন্ত কোলা রাখার কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি এই দূর্যোগ মোকাবেলায় আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। প্রশাসনের নির্দেশ মোতাবেক সামাজিক দৃরত্ব বজায় রেখে চলার অনুরোধ করছি উপজেলা বাসিকে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here