কামরুজামান লিটন, ঝিনাইদহ : করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ হ্রাস রোধে শনিবার হরিণাকুণ্ডু উপজেলার বিভিন্ন মোড় ও বাজারে বিধিনিষেধ প্রতিপালনে অনিহাই ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়।
এসময় সরকারি আদেশ অমান্যকরে উপজেলা মোড়,হাসপাতাল মোড়, একতারার মোড়, জোড়াদাহ বাজার সহ বিভিন্ন বাজারে মাস্ক পরিধান না করা,হেলমেট ও বৈধ কাগজপত্র না থাকায়, স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করা, জরুরী কাজ ছাড়া বাইরে ঘোরাফেরা করা,দোকান খোলা রাখার দায়ে ৭টি মামলার বিপরীতে চার হাজার একশত (৪১০০/-) টাকা নগদ অর্থ জরিমানা আদায় করলেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দা নাফিস সুলতানা।
করোনার ভয়াবহতা রোধে জনগনকে সচেতন করাসহ বিধিনিষেধ মানাতে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনায় সেনাবাহিনী ও থানা পুলিশ সহযোগিতা করে।
নির্বাহী অফিসারের সাথে ছিলেন অফিস সহকারী আসাদুল ইসলাম,প্রোসেস সার্ভার মঞ্জু মিয়া।
এছাড়া উপজেলা বিভিন্ন মোড়ে ও বাজারে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সেনাবাহিনী ও পুলিশ প্রশাসনের অবস্থান দেখাগেছে বারংবার।
লকডাউন কার্যকর করার উদ্দেশ্যে মাক্সবিহীনদের মাঝে মাস্ক বিতরণ, বিনা প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হওয়া মানুষদের সচেতন করে ঘরে ফেরৎ পাঠানো হচ্ছে।
অতিজরুরী পন্য বহণকারী যান, ফার্মেসী কাঁচাবাজার ব্যাতীত সকল দোকান বন্ধ থাকতে দেখা গেছে । বিশেষ করে লকডাউনে রাস্তায় ও বাজারঘাটে জনসাধারণের উপস্থিতি ছিলো খুবই কম।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দা নাফিস সুলতানা বলেন,
করোনা পরিস্থিতিতে সবাইকে বিধিনিষেধ আরোপ মেনে চলতে হবে। জনসাধারণদের করোনার ভয়াবহতা থেকে বাচাতে মৃত্যুর মিছিল ছোটো করতে এই কঠোরতার বিকল্প নেই। তিনি আরো বলেন, এই কঠেরতায় ও ভ্রাম্যমান আদালতে জরিমানায় কিছু অবিবেকবান মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হলেও সংখ্যাগরিষ্ট মানুষ সংক্রমণ থেকে রক্ষা পাচ্ছে।
এছাড়াও তিনি জরুরী কাজে ঘরছেড়ে বাইরে আসা মানুষদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে মাস্ক পরিধান আহ্বান জানান।
তিনি আরও বলেন, করোনার ঝুঁকি এড়াতে জনসাধারণকে বাচাতে প্রশাসনের এই অভিযান অব্যহত থাকবে।