বসুন্দিয়া প্রতিনিধি ঃ খেলাধুলা চিত্তবিনোদন কার বা মনে চায়না, ভালবাসে না এমন মানুষের সংখ্যা খুবই কম। পল্লি গ্রামের মানুষের হাড়ভাঙ্গা খাটুনির পর বিকাল বেলায় একটু দম ফেলতে ফেলতে মন ছুটাছুটি করে সময় কাটাতে ফুটবল, ক্রিকেট, হাডুডু, মত কিছু খেলাধুলায় ডুবে থাকতো। কালে কালে এসমস্ত এখন হারিয়ে যেতে বসেছে কারন জায়গার বড় অভাব। এমনই অবস্থা হয়ে দাড়িয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে খেলাধুলা করার পরিস্থিতি নেই। মাঠ গুলো স্বল্প পরিসরে এসে যাচ্ছে।
বাঘারপাড়া উপজেলার দক্ষিণাঞ্চলে কয়েকটি গ্রামের এমনই অবস্থা। প্রায় প্রতিটি গ্রামেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থাকলেও, শিশু কিশোরদের শারীর চর্চা করার মত খেলাধুলার মাঠ নেই। বাসুয়াড়ী ও জামদিয়া ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের দিকে নজর দিলে দেখা যায়। বাসুয়াড়ী, জয়রামপুর, বাররা, আলাদীপুর, নিত্যানন্দপুর, বারভাগ এই ছয়টি গ্রামে প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে তিনটি। বাসুয়াড়ী, জয়রামপুর ও বাররা গ্রামে। বাকি তিন গ্রামে কোন স্কুল নেই। দুটি গ্রামে মাদরাসা আছে, তাতে তো সেই রকম খেলার মাঠ নেই। ছয় গ্রামে একটি মাত্র খেলাধুলার মাঠ, তাও জয়রামপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। বাকি দুই প্রতিষ্ঠানে খেলাধুলার মাঠ দিন দিন ছোট হয়ে আসছে। আস্তে আস্তে বিলুপ্ত হয়ে যাবে এক সময় খেলার মাঠ গুলো। কালে কালে হারিয়ে যাবে ঐতিহ্যবাহী খেলাধুলা। এমনই কয়েকজন হাবিব (৮) ফয়সাল (৯) আরাফাত (৯) রকি (৭) বিপুল (৭) হাদিউজ্জামান (৮) ছোট্ট ছোট্ট কোমলমতি শিশুদের সাথে আলাপকালে তারা জানায় আমরা প্রাইমারিতে পড়ালেখা করি। করোনার কারনে স্কুল বন্ধ তারপরও বিকালে খেলাধুলা করার জন্য ছুটে আসি। কিন্তু মাঠ নেই, অল্প জায়গাতে বল নিয়ে কোন রকম ছুটা ছুটি দৌড়াদড়ি করে আনন্দ করি। প্রাইমারির গন্ডি পার হয়ে হাই স্কুলে পা দিয়েছে এমন শিক্ষার্থীরা খেলাধুলা, শারীরিক চর্চা ভুলতে বসেছে। খেলাধুলা তাদের এখন মোবাইলে, মোবাইলই নিত্যদিনের সাথী। মোবাইলে সময় পার করছে স্কুলের বারান্দায়, খোলা বিলে, নদীর চরে, রাস্তার পাশে বসে গেমে মগ্ন হয়ে থাকে ভুলতে বসেছে খেলাধুলা।
কথা হয় সমাজ সেবক মোঃ আনসর মিনা, কমরেড মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান লাল মিয়া, কমরেড মোঃ আব্দুর সবুর মোল্যা, কমরেড মোঃ মিজানুর রহমান, মোঃ তরিকুল ইসলাম লিটন তারা বলেন, এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে খেলার মাঠ ছোট পরিসর হয়ে আসছে। শিক্ষার্থীদের জন্য ভবন নির্মাণ হচ্ছে, তাতে প্রতিষ্ঠানের জায়গা কমে যাচ্ছে। অন্যদিকে বিকাল বেলায় সাধারন মানুষের সময় কাটানো চিত্তবিনোদনের মত নিদিষ্ট স্থানের অভাব দেখা দিয়েছে। প্রতিটি এলাকাতে খেলাধুলা মাঠ, চিত্তবিনোদনের স্থান গড়ে তোলার প্রয়োজন সরকারের এমনটাই মনে করেন এ অঞ্চলের মানুষ।