জহুরপুর ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থী বদর মোল্লার সংবাদ সম্মেলন আওয়ামীলীগ কর্মী টিটো হত্যাকারীরাই সন্ত্রাসে লিপ্ত

0
198

মালিকুজ্জামান কাকা, যশোার : যশোর জেলার বাঘারপাড়া উপজেলায় আসন্ন ইউপি নির্বাচন পরিস্থিতি জমে উঠেছে। সন্ত্রাস, প্রতিপক্ষ দমন, মারামারিতে লিপ্ত এখানকার কয়েকটি ইউনিয়নের প্রার্থী ও তাদের লোকজন। স্বতন্ত্র প্রার্থী বদর উদ্দীন মোল্যা বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেছেন তার সুনিশ্চিত বিজয় ছিনিয়ে নিতেই প্রতপক্ষ সন্ত্রাস, মারামারি, ভাংচুরে লিপ্ত। মূলত জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামীলীগ কর্মী বেতালপাড়ার নিহত টিটোর হত্যাকারি দিলু পাটোয়ারী নৌকা প্রতীকধারী আসাদুজ্জামান মিন্টুর পক্ষে অবস্থান নিয়ে একের পর সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাচ্ছে। এরা সর্বশেষ বুধবার ৪/৫টি মোটর সাইকেল ভাংচুর ও লোকজন কে মারধোর করেছে। মোটর সাইকেল প্রতীকের জন সমর্থনে ভীত হয়ে সন্ত্রাসীরা তাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করছে। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জহুরপুর ইউনিয়নে নির্বাচনে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী বদর উদ্দীন মোল্লা। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, আক্কাস বিশ্বাস, গোলাম সরোয়ার, মোহাম্মদ আলী, ইন্তাজ আলী, জাহাঙ্গীর হোসেন, সহিদুল মন্ডল, সামছুর মোল্যা, ইবাদ আলী মুন্সী প্রমুখ। ভোট সুষ্ঠু হলে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী বলে জানিয়েছেন যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র এ প্রার্থী। বুধবার তার নির্বাচনী প্রতীক মোটরসাইকেলের শোডাউন ও গণ সংযোগ হয়। শত শত নেতাকর্মীকে সাথে নিয়ে ইউনিয়নের সবকয়টি বাজারে মোটরসাইকেল ও ইজিবাইক নিয়ে শোডাউন করেন এ চেয়ারম্যান প্রার্থী। গণ সংযোগকালে হলিহুট্ট, তেলকূপ, জহুরপুর, মাঝিয়ালী, যাদবপুর, খুদড়া, কেশবপুর, খালিয়াসহ বিভিন্ন বাজারে উপস্থিত মানুষের মধ্যে মোটরসাইকেল প্রতীকের লিফলেট বিতরণ করেন বদর মোল্লা। এ সময় তিনি বলেন, মানুষ ভোট কেন্দ্রে যেতে চায়। প্রশাসন নিরপে থাকলে সেটি সম্ভব। জহুরপুর ইউনিয়ন পরিষদকে মডেল হিসেবে গড়ে তুলতে মোটরসাইকেল প্রতীকের বিকল্প নেই বলে উল্লেখ করেন তিনি। দলমত নির্বিশেষে মোটরসাইকেলে ভোট দিবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রার্থী বদর উদ্দীন মোল্লা। তিনি বলেন, তার জন সমর্থনে ভীত হয়ে এদিন ছোট খুদড়ার আইয়ুব আলীর পুত্র ইমামুল গনির টিভিএস স্ট্রাইকার, শহিদুল মন্ডলের পুত্র হজরত আলীর পালসার, বিল্লাল মন্ডলের পুত্র বোরহান মন্ডলের ডিসকভার, রজব মন্ডলের পুত্র শরিফ ডাক্তারের ডায়াং ৮০ সিসিঃ মোটর সাইকেল ভাংচুর করেছে আসাদুজ্জামান মিন্টু-দিলু পাটোয়ারির সন্ত্রাসীরা। ওরা নিজেকে আওয়ামী লীগ দাবি করে অথচ বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পর একমাত্র তাদের বাড়িতে নৌকা লোগো ছিল। একারনে কম অত্যাচার নির্যাতন সহ্য করতে হয়নি সেসময়ে। এই নির্বাচনের মাঠে তার ভাই মনু মোল্যা ও পুত্র লোটাস আহত হয়েছেন। হলিহট্টর গ্রামের মাহাবুর এখন মৃত্যুশয্যায় রয়েছেন। এসব অভিযোগে ১৭ নভেম্বর বাঘারপাড়া থানা পুলিশ চারজন সন্ত্রাসীকে আটক করেছে। বদর উদ্দীন মোল্লা ১৯৯২ সালে জহুরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। বাঘারপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি হিসেবে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। জহুরপুরে বদর মোল্লা ছাড়াও অন্যান্য চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন নৌকা প্রতীকের আসাদুজ্জামান মিন্টু, চশমা প্রতীকের কাজী মনিরুজ্জামান,আনারস প্রতীকের আবু তালেব, হাতপাখা প্রতীকের রকিবুল ইসলাম আরজু, ঘোড়া প্রতীকের আলমগীর হোসেন ও গোলাপ ফুল প্রতীকের রফিকুল ইসলাম। এদিকে, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জহুরপুর ইউনিয়নে বুধবার রাতে সহিংস ঘটনা ঘটে। তারপরও স্বতন্ত্র প্রার্থী বদর উদ্দীন মোল্লা প্রশাসনের দিকে তাকিয়ে আছেন। ভোটারদের পাশাপাশি তার ভরসা এখন প্রশাসন। আগামী ২৮ ডিসেম্বর এ ইউনিয়নে নির্বাচনের তারিখ। তিনি শতকরা ৭০-৭৫ ভাগ ভোট প্রাপ্তির আশা প্রকাশ করেন সংবাদ সম্মেলনে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here