যশোরের আদালতে ৬ লাখ টাকা প্রতারনা মামলা

0
204

মালিকুজ্জামান কাকা, যশোর : বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট অভয়নগর আমলী আদালত যশোরে ছয় লাখ টাকা প্রতারনা মামলা হয়েছে। অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়া পাঁচকবরের নজরুল ইসলামের স্ত্রী পারভীন ইসলাম এই মামলার বাদি। এই মামলার আসামিরা চলতি বছরেই পরিকল্পিতভাবে এই আর্থিক প্রতারনা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ৪০৬/৪২০/১০৯ ধারায় মামলাটি রজ্জু হয়েছে। বাদির এজাহার অনুযায়ি, আসামি ১) অভয়নগর পাঁচকবর পাকিস্তান পাড়ার মজিহাটি ব্রিজের পাশে আব্দুল রহমানের পুত্র বাবু মিয়া ও ২) খুলনা জেলার খানজাহান আলী থানার জাবদীপুরের মৃত হাবিবুর রহমানের পুত্র আরজুল হাওলাদার বা আরজান হাওলাদার ওরফে আবুল হোসেন। আসামিরা চলতি বছরে চেক বাবদ দুই লাখ ও স্যাম্পের মাধ্যমে চার লাখ সর্ব মোট ছয় লাখ টাকা ধার হিসাবে গ্রহন করেন। তারা চেক বাবদ ৩০/১০/২০২১ তারিখে চেকের বিপরীতে দুই লাখ টাকা ধার গ্রহন করেন। উত্তরা ব্যাংক লিঃ এর নোয়াপাড়া বাজার শাখার সঞ্চয়ী হিসাব নং ১১-৪১২৮ এই চেক প্রদান করেন আসামিরা। এর আগে ১০/০২/২০২০ তারিখে ৫০ টাকার তিনটি অর্থাৎ ১৫০ টকার নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে চার লাখ টাকা ধার বা কর্জ গ্রহন করেন। বাদির বাড়ি দীর্ঘ সাত বছর ভাড়া থাকায় ১নং আসামির সাথে ভাল সম্পর্কের ভিত্তিতেই ধারের টাকা লেনদেন হয়। আসামিরা নওয়াপাড়া বাজারে ইট, বালু, সিমেন্ট, টিন, চাউল ও ব্যাটারীর ব্যবসা করতেন। এই লেনদেনের স্বাক্ষী ১. মৃত আঃ করিমের পুত্র নজরুল ইসলাম ২. সোহারাবের পুত্র শহিদুল ইসলাম উভয় সাং নওয়াপাড়া পাঁচকবর ৩. মশরহাটি গ্রামের গোলাম হোসেনের পুত্র জাহিদুল ও ৪. নওয়াপাড়া পাঁচকবর গ্রামের মতিয়ার রহমানের পুত্র হ্নদয়। এছাড়া আরো অনেকেই টাকা বাদি কতৃক আসামিদের টাকা ধার প্রদানের ঘটনা জানেন। টাকা ধার নেওয়ার পর থেকেই আসামিরা আত্মগোপন করে। বহু স্থানে খোজাখুজি করে তাদের প্রথম দিকে হদিশ পেতে ব্যর্থ হয় পারভীন ইসলাম। বাদিনী পারভীন ইসলাম চেকটি নিয়ে ব্যাংকে গেলে জানতে পারেন ২নং আসামি আরজুল হাওলাদারের ব্যাংকে কোন হিসাব নাই। পরবর্তীতে খোজাখুজি করে তাদের হদিস পেলেও তারা টাকা না পরিশোধ করে টালবাহানা করে। স্থানীয় পর্যায়ে শালিষ মীমাংসার মাধ্যমে এ বিষয়ের সমাধান করার চেষ্টা করেন বাদি। তাতে সফল না হয়ে অবশেষে তিনি বিজ্ঞ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here