মালিকুজ্জামান কাকা, যশোর : যৌতুকের দাবি পরিশোধ না করায় আরো এক গৃহবধূর সুখে সংসার করার স্বপ্ন ধুলিস্মাৎ হয়েছে। ভূক্তভোগী এই গৃহবধূর নাম সুমাইয়া। তিনি যশোর সদর উপজেলার সতীঘাটা বাজারের পূর্বপান্তাপাড়ার হাফিজুর রহমানের কন্যা।
জানা গেছে, অভিভাবকদের সম্মতিতে সুমাইয়া খাতুনের সাথে ০১/০২/২০১৯ তারিখে বিবাহ হয় সদর উপজেলার সাতবাড়িয়া কচুয়ার মৃত জবেদ আলীর পুত্র হাফিজুর রহমানের। দেড় লাখ টাকা দেনমোহরের বিয়েটি শেষ পর্যন্ত টেকেনি। বিয়ের পর স্বামী গৃহে প্রবেশের পর সুমাইয়া জানতে পারে তার আরো একটি স্ত্রী আছে। যেহেতু বিয়ে হয়ে গেছে তাই ভবিষ্যতের সুখের কথা ভেবে এই গৃহবধূ সংসারের কাজকর্মে মন দেয়। কিন্ত এরপর যৌতুকের দাবিতে শুরু হয় স্বামী, শাশুড়ী, দেবরের পরিকল্পিত নির্যাতন। তার শশুর বাড়ির লোকজন পাঁচলাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। পিতা মাতা আত্মীয় স্বজনকে জানালে ধার দেনা কর্জ করে দেড় লাখ টাকা যৌতুক পরিশোধ করে সুমাইয়ার পরিবার। এতেও কাজ হয়নি। চলতি বছরের ১০ সেপ্টেম্বর সকাল আনুমানিক আট টার দিকে পিতা মাতার ভাড়া বাড়িতে থাকা কালিন হাফিজুর রহমান সুমাইয়াদের বাড়িতে এসে যৌতুকের তিন লাখ টাকা দাবি করে। তা দিতে অস্বীকার করায় সেই উঠোনে ফেলে হাফিজুর একপাশে থাকা বাঁশ দিয়ে সুমাইয়াকে মারধোর শুরু করে। তার চিৎকারে পিতা হাফিজুর রহমান, মাতা মাজেদা বেগম ও বাড়িওয়ালা ইদ্রিস আলম এগিয়ে আসে। লোকজন আসতে দেখে সকলকে খুন জখম করার হুমকি দিয়ে হাফিজুর রহমান স্থান ত্যাগ করে। স্থানীয় শালিষ মীমাংসায় সংসার টিকিয়ে রাখার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেও সুমাইয়া ও তার অভিভাবকরা ব্যর্থ হয়েছেন। এরপর ১৬ নভেম্বর সুমাইয়া খাতুন কোতয়ালি মডেল থানায় একটি অভিযোগ করেছেন। সেই অভিযোগ পত্রে যৌতুকের দাবিকৃত আসামিরা হচ্ছে স্বামী ১) হাফিজুর রহমান, পিতা- মৃত জবেদ আলী, শাশুড়ী ২) রমেজা বেগম, স্বামী ঃ মৃত জবেদ আলী, দেবর ৩) জিয়া, পিতা- মৃত জবেদ আলী।