মোংলায় টানা বৃস্টিতে দূর্ভোগে নিম্ন আয়ের মানুষ

0
160

মোংলা প্রতিনিধি : বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি ঘুর্ণিজড়ে রুপ নিয়েছিল উপকুলে ঝুড়ে। ফলে শনিবার রাত থেকেই দুর্যোগপুর্ণ আবহাওয়া ও বৃষ্টি শুরু হয় মোংলা বন্দর সহ এর আশপাশ এলাকায়। ঘুর্ণিঝড় জাওয়াদ বাংলাদেশের উপকুলে আঘাত হানার সম্ভাবনা থাকলেও সেটি ভারতের উপর দিয়ে অতিক্রম করেছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। গত দিন দিন পর সাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি লঘু চাপে পরিনত হওয়ার পরেও মোংলা বন্দরে তিন নম্বর স্থানীয় সর্তক সংকেত বহাল রেখেছে আবহাওয়াবিদরা।
আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি এখন লঘু চাপে পরিনত হয়েছে কিন্ত আকাশ মেঘাচ্ছন্ন এবং বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। এছাড়া শনিবার থেকে সোমবারও সুন্দরবন উপকুল অঞ্চলে বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করছে। যার কারনে গত তিনদিন ধরে মোংলা বন্দরসহ সুন্দরবন উপকুল অঞ্চলে বৃষ্টি ও দুর্যোগপুর্ণ আবহাওয়া বিরাজ করছে। দিনের বেলায় সূর্যের দেখা মিলছে না। এতে বিপাকে পরেছে দৈনন্দিন খেটে খাওয়া এ অঞ্চলের নিম্ন আয়ের মানুষগুলো। অপরদিকে হালকা ও ভারী বৃষ্টির ফলে বন্দরে অবস্থানরত সামুদ্রিক জাহাজ থেকে পণ্য খালাস কাজ ব্যাহত হচ্ছে। বৃষ্টির ফলে শিতের তিব্রতাও বেড়েছে আগের তুলনায় দ্বিগুন। মোংলা বন্দর ও এর আশপাশ এলাকায় থেমে থেমে হালকা ও ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারনে বিপাকে পরেছে শহরের চলাচলকারী, শিল্প প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারী এবং মোংলা ইপিজেজে কর্মরত সাধারন শ্রমিকরা। ফলে সড়কগুলোতে যান বাহন চলাচলকারী ও নিম্ম আয়ের মানুষের দুর্ভোগ বৃদ্ধি পেয়েছে। ঘুর্নিঝড়ের খবর পেয়ে বঙ্গোপসাগরে মাছ আহরনে যাওয়া জেলেও ট্রলারগুরো সুন্দরবনের বিভিন্ন খালে আশ্রায় নিতে দেখা গেছে। কিন্ত ঘুর্ণিঝড়ের প্রভাব কেটে গেলেও সাগর প্রচন্ড উত্তল তাকায় সুন্দরবনের অভ্যন্তরে ও সাগরে জেলেরা মাছ ধরতে নামতে পারছেনা। এ ছাড়া সুন্দরবনের দুবলার চর এলাকায় সাগর থেকে আহরিত মাছ নিয়েও উঠে আসতে পারছেনা জেলেরা। এছাড়া যারা দুবলার চরসহ অন্যান্য চরাঞ্চলে শুটকী আহরনের জন্য সাগর থেকে মাছ আহরন করেছে তা বৃষ্টির কারনে পঁচতে শুরু করেছে। রোধ না থাকায় কয়েক কোটি টাকা বড় ধরনের লোকসানের মুখে পরতে হচ্ছে দুবলার শুটকী ব্যাবসায়ী ও মৎস্য আহরনে যাওয়া জেলেদের। এদিকে হালকা ও ভারী বৃষ্টির ফলে মোংলা বন্দরে অবস্থানরত সামুদ্রিক জাহাজ থেকে পণ্য খালাস কাজ ব্যাহত হচ্ছে। বন্দরের হারবার মাস্টার কমান্ডার শেখ ফখর উদ্দিন বলেন, সোমবার দুপুর পর্যন্ত সার,গম,চাল, কিংকার, পাথর, গ্যাস, ফাই আ্যাশসহ ১২টি বাণিজ্যিক জাহাজ এ বন্দরে পণ্য খালাসের অপেক্ষায় এখানে অবস্থান করছে। লঘুচাপের কারনে বন্দরের পন্য খালাস-বোঝাইয়ে তেমন কোন প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না হলেও সার ও খাদ্যবাহী জাহাজের পন্য খালাস কাজ চরম ভাবে ব্যাহত হচ্ছে। তবে বন্দরের জেটি এলাকায় কার্যক্রম রয়েছে সাভাবিক।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here