মণিরামপুর ও রাজগঞ্জে নির্ধারিত দামে মিলছে না ভোজ্যতেল, ঠকছে সাধারণ মানুষ

0
226

হেলাল উদ্দিন, রাজগঞ্জ প্রতিনিধি : দেশের ইতিহাসে খুচরা বাজারে সর্বোচ্চ দামে বিক্রি হচ্ছে ভোজ্যতেল। বর্তমানে যশোরের মণিরামপুর ও রাজগঞ্জের বিভিন্ন বাজারে প্রতিকেজি খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকায়। ভোজ্যতেলের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধির কারণে সরকার তেলের দাম নির্ধারণ করে দিলেও মণিরামপুর ও রাজগঞ্জের কোনো বাজারে তা মানা হচ্ছে না। সরকারের এ আদেশকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখাচ্ছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। বৃহস্পতিবার সরেজমিনে দেখা যায়- খোলা সয়াবিন তেল প্রতিকেজি ১৭০ টাকা ও বোতলজাত সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৯০ টাকায় বিক্রি করছে ব্যবসায়ীরা। ক্রেতারা বাধ্য হয়েই বাড়তি দামে কিনছে সয়াবিন তেল। এছাড়া সুপার ও পাম অয়েল তেলও বিক্রি হচ্ছে বাড়তি দামে। সরকার নির্ধারিত দাম হচ্ছে- খোলা সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৩৬ টাকা আর বোতলজাত সয়াবিন তেল প্রতিলিটার ১৬০ টাকা। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন- আমরা পাইকারি বাজার থেকে ভোজ্যতেল যেভাবে ক্রয় করি, সেই ভাবেই বিক্রি করি। এখন পাইকারি বাজার থেকে প্রতিকেজি খোলা সয়াবিন তেল ১৪৬ টাকায় কিনতে হচ্ছে। তাহলে সরকার নির্ধারিত ১৩৬ টাকায় খুচরা দামে কিভাবে বিক্রি করবো। এই দাম নিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে প্রায়ই কথা কাটাকাটি হচ্ছে এমন চিত্র দেখা গেছে। এদিকে- সাধারণ ক্রেতাদের অভিযোগ- ব্যবসায়ীরা তাদের গুদামে তেল মজুদ করে রেখে অতিরিক্ত দামে বিক্রি করছে। গত ২২ মার্চ-২০২২, মণিরামপুর বাজারের মের্সাস মনির উদ্দিন টেডার্সে অভিযান চালিয়ে ৪০ হাজার লিটার সয়াবিন তেল গুদামে মজুদ রাখা ও বেশি দামে বিক্রির অপরাধে ব্যবসায়ী আরিফুজ্জামানকে এক ল্য টাকা জরিমানা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। শুধু আরিফুজ্জামান না মণিরামপুর ও রাজগঞ্জ বাজারের অধিকাংশ ব্যবসায়ীরা তেল মজুদ করে রেখে বাজারে সংকট সৃষ্টি করে বেশি দামে বিক্রি করছে। সাধারণ ক্রেতারা বলেন- দোকানে তেল কিনতে যেয়ে সরকার নির্ধারিত দামের কথা বললে, দোকানিরা তেল নেই বলে জানাচ্ছেন। আবার বেশি দাম দিলেই তেল দিচ্ছে। দোকানদাররা এভাবেই ঠকাচ্ছে সাধারণ মানুষদের। সাধারণ মানুষদের দাবি- নিয়মিত বাজার মনিটরিং করে ও ব্যবসায়ীদের গুদাম তল্লাশি করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপ দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here