যশোর অফিস : দিনকে স্মরণ করে সন্ধ্যায় যশোরে আলোর মিছিল। একইসাথে রাষ্ট্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাত ৯টা থেকে ৯টা ১মিনিট পর্যন্ত ব্লাক আউট করে ভয়াল ২৫ মার্চ স্মরণ করা হয়।মিছিল থেকে একাত্তরের ভয়াল কালরাত ২৫ মার্চকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস ঘোষণার দাবি জানানো হয়।
জেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি ও ক্যাম্পাস থিয়েটার আন্দোলন, পূজা উদযাপন পরিষদ যশোর জেলা শাখার উদ্যোগে পৃথক পৃথকভাবে মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রারম্ভে শহিদ হওয়া বাঙালিদের প্রতি হাজারো মোমবাতি প্রজ্বালন ও মশাল মিছিল করে শ্রদ্ধা জানানো হয়। নবনির্মিত শহীদ মিনার চত্বর থেকে শুরু হয় এ মিছিল। সন্ধ্যায় জেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের উদ্যোগে প্রজ্জ্বলিত মোমবাতি মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিধন্য ঐতিহাসিক টাউন হল ময়দানের উন্মুক্ত মঞ্চের সামনে সারিবদ্ধভাবে রাখা হয়। উপস্থিত সকলে নীরবে দাঁড়িয়ে শহিদদের প্রতি সম্মান জানান। এসময় ‘জয় বাংলা’, ‘তোমার আমার ঠিকানা- পদ্মা মেঘনা যমুনা’ স্লোগান ধ্বণীত হয়। আলোর এ মিছিলে অংশ নেন, জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান, পৌর মেয়র বীরমুক্তিযোদ্ধা হায়দার গনী খান পলাশ, বীরমুক্তিযোদ্ধা আমিরুল ইসলাম রন্টু, অ্যাড. রবিউল আলম, একরাম উদ দ্দৌলা, খুরশীদ আনোয়ার বাবলু, আফজাল হোসেন দোদুল, জেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি সুকুমার দাস, সাধারণ সম্পাদক সাধারণ সম্পাদক সানোয়ার আলম খান দুলু, সহসভাপতি তরিকুল ইসলাম তারু, যশোর সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ফারাজি আহমেদ সাঈদ বুলবুল, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি যশোরের সভাপপতি হারুণ অর রশীদ, সাধারণ সম্পাদক সাজেদ রহমান, জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. মাহামুদ হাসান বুলুসহ জোটভূক্ত বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের সদস্য ও নেতৃবৃন্দ।
এদিন বিকেলে যশোর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ঐতিহাসিক টাউন হল ময়দানের শতাব্দী বটমূলের রওশন আলী মঞ্চে গণহত্যা ও মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান। আলোচক ছিলেন পৌরমেয়র বীরমুক্তিযোদ্ধা হায়দার গনী খান পলাশ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলার হোসাইন, সংবাদপত্র পরিষদ যশোরের সভাপতি একরাম উদ দ্দৌলা ও যশোর সাংবাদিক ইউনিয়ন যশোরের সভাপতি ফারাজী আহমেদ সাঈদ বুলবুল। সঞ্চালনা করেন শিক্ষক আহসান হাবিব পারভেজ।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন সুরবিতান, চাঁদেরহাট, অগ্নিবীণা, উৎকর্ষ, স্পন্দন, কিংশুক, স্বরগম, সপ্তসুরের শিল্পীবৃন্দ। আবৃত্তি ও স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন বীরমুক্তিযোদ্ধা খুরশীদ আনোয়ার বাবলু, পুনশ্চের অরাত্রিকা হক শ্রেষ্টা, বিদ্রোহী সাহিত্য পরিষদের ব্রতি বর্মন, মুক্তেশ্বরীর শাহরিয়ার সোহেল।
এছাড়া শেকড় যশোরের প্রযোজনায় ‘অপারেশন সার্চ লাইট’ শীর্ষক গীতি আলেখ্য মঞ্চস্থ হয়। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন অরুনিমা হক শ্রেষ্ঠা।