জীবন সংগ্রামের আঠারো বছরে রোমেসা বেগমের ভাগ্যে জোঁটেনি সরকারী কোন সহযোগিতা

0
264

জি এম অভি : ১৮ বছর ধরে বাদাম বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করছেন রোমেসা বেগম(৫৭)। বাজার থেকে কাঁচা বাদাম এনে ভেঁজে বিক্রি করেন। তাতে কোনদিন ২শ/৩শ টাকা রোজগার হয়। এমনও দিন যায় ৫০ টাকা আয় করে বাড়ি ফেরেন। ঘর ভাড়া গুনতে হয় মাসে ৩ হাজার টাকা। বাকি টাকা দিয়ে চালাতে হয় চার জনের সংসার। জীবনের পরন্ত বেলায় এসে হাঁপিয়ে উঠছেন রোমেসা বেগম। আগের মত দাড়িয়ে থেকে বাদাম ভাঁজা ও বিক্রি করা তার পে অসম্ভব হয়ে পরেছে। রোমেসা বেগম বলেন, সারাদিন আগুনের কাছে থেকে থেকে শরীরে অনেক রোগ দেখা দিয়েছে। যেদিন থেকে বাদাম ভাজা শুরু করেছি সেই দিন থেকে আজ প্রায় ১৮ বছর রাতে ঘুমাতে পারিনা। পেট জালাপোড়া মাথা ব্যথা ও মাজা ব্যথার কারনে রাতে ঘুম হয়না । কান্তির কারনে আজানের পরে তন্দ্রা আসে। তারপরেও কিছু করার নাই বাঁচতে হলে কাজ করতে হবে বাবা। কে খাওয়াবে আমাকে ? । রোমেসা বেগম দৈনিক যশোরকে বলেন, শুধু শুনি গরীব অসহায় মানুষদের সরকার সহযোগীতা করেন। থাকার জন্য ঘর দেন জমি দেন কিন্তু কই আমার পোড়া কপালেতো কিছুই জুটলোনা। তিনি আরো বলেন, ঘোপ ৩ নং ওয়ার্ডের ভোটার আমি ওয়ার্ডের মেম্বার কোনদিন একটি চাইলের কার্ড,করোনার সময়ে সরকারের কোন সুযোগ সহযোগিতা কিছুই দেয়নি। বাদাম বিক্রি করা টাকা দিয়ে মাসে ৩ হাজার টাকা ঘর ভাড়া দিতে হয়। অনেক কষ্টে দুঃখে জীবন চলছে আর বাঁচবো কয়দিন জন্ম থেকে আজ পর্যন্ত কষ্ট দুঃখ আর চোখের পানিতেই জীবনের শেষ পর্যায়ে। যশোর শহরের ঘোপ এলাকায় স্বামীর সঙ্গে বসবাস করতেন রোমেসা বেগম(৫৭) আজ থেকে ২০ বছর আগে এক পুত্র সন্তান রেখে মারা যায় স্বামী হোসেন আলী। স্বামী মারা যাওয়ার পরে রোমেসা বেগমের জীবনে নেমে আসে কালো মেঘ। স্বামীর জমানো অর্থকড়িতে সংসার চলে ২ বছর । তারপর থেকে পেটের দায়ে ও সন্তানকে মানুষ করতে রোমেসা বেগম অন্যের বাড়িতে কাজ করে সংসার চালানো শুরু করেন। নিজে সৎ উপার্জনের জন্য শুরু করেন বাদাম বিক্রি। বর্তমানে শহরের বেশীরভাগ মানুষ তাকে বাদামওয়ালা খালা বলেই চেনেন। রোমেসা বেগম প্রতিদিন বিকেল থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত বাদাম বিক্রি করেন যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ঠ জেনারেল হাসপাতাল গেটের সামনে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here