স্টাফ রিপোর্টার : যশোর সদরে আরবপুর ইউনিয়নের বালিয়া ভেকুটিয়া, কলোনী পাড়া, বিমানবন্দর এলাকায় সন্ত্রাসীসহ অসামাজিক কর্মকান্ড চলছে। আর এসব অপকর্মে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন সদ্য নির্বাচিত ইউপি সদস্য রোজিনা আক্তার। তার ও তার সাঙ্গপাঙ্গদের অত্যাচারে এলাকার সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। রোববার সকালে ভেকুটিয়া কলোনী পাড়ায় এক বাড়িতে হামলা চালিয়েছে ওই বাহিনীর সদস্যরা। হামলা চালিয়ে ওই বাড়ির সদস্যদের মারপিটসহ প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে ইউপি সদস্য রোজিনার ভাই ফরিদ হোসেনসহ আত্মীয় স্বজনরা। জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে ওই বাড়ির মালিক শামসুল হুদা যশোর কোতয়ালি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
শামসুল হুদা বলেন, আমি এই এলাকায় ২০ বছর বসবাস করছি। কারো সাথে আমার কোন বিবাদ নেই। এলাকায় গ্রাম্য চিকিৎসক হিসেবে আমার পরিচিতি রয়েছে। জমি কিনে আমার বাড়ি করার সময় রোজিনা ও তার পরিবারের লোকজন বাধা দেয়। পরে আদালত থেকে রায় নিয়ে এসে বাড়ি করেছি। এখন বসবাস করতে দেবে না বলে হুমকি দিচ্ছে। কোন ভাড়াটিয়া আসলে তাদেরকে হুমকি দিচ্ছে। তারা দীর্ঘদিন ধরে আমার ও আমার পরিবারে ওপর অত্যচার চালাচ্ছে। গতকাল রোববার সকালে আমার বাড়ি ঘরে ঢুকে বউ, ছেলেদেরকে মারপিট করেছে।
এলাকাবাসী জানায়, রোজিনা আক্তারের রয়েছে একটি সন্ত্রাসী বাহিনী। এই বাহিনী দিয়ে নানা অপকর্ম চালিয়ে আসছে। বিভিন্ন এলাকার মানুষ এখানে বসতি গড়ে তোলায় ভয়ে কেউ তার বিরুদ্ধে কথা বলতে সাহস পায় না। ফলে দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় সন্ত্রাসের রামরাজত্ব চলছে রোজিনার। ওই এলাকায় কোন মানুষ বাড়ি করতে হলে রোজিনা ও তার সাঙ্গপাঙ্গদের চাঁদা দিতে হয়। চাঁদা না দিলে তাকে নানাভাবে হয়রাণি করা হয়। জীবনের ভয়ে কেউবা মান সম্মানের ভয়ে এই বাহিনীকে চাঁদা দিয়ে থাকে। অনেকে আইন শৃঙ্খলা রাকারী বাহিনীর কাছেও যেতে ভয় পায়।
স্থানীয় বাসিন্দা জসিম উদ্দিন বলেন, রোজিনা দীর্ঘদিন ধরে বেপরোয়াভাবে চলাফেরা করে। এলাকার মানুষ শিতি-চাকুরিজীবী। মান-সম্মানের ভয়ে কেউ কোন কথা বলতে পারে না। গতকাল রোববার সকালে শামসুল হুদার বাড়িতে রোজিনার ভাই ফরিদসহ একদল সন্ত্রাসী ঢুকে মারপিট করেছে। যারা প্রতিবাদ করেছে তাদের কেউ লাঞ্ছিত করেছে। তার ভাইসহ আত্মীয় স্বজনরা এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকা- চালাচ্ছে। এখন মেম্বার হওয়ার কারণে কেউ তার বিরুদ্ধে কথা বলতে সাহস পাচ্ছে না।
একই এলাকার আবু সাঈদ বলেন, রোজিনা মেম্বার হওয়ার পর থেকে তার আত্মীয় স্বজনরা এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকা- চালিয়ে আসছে। মানুষের বাড়ি ঘরে উঠে হামলা চালাচ্ছে। লুটতরাজ করছে। সাধারণ মানুষদের মারপিট করছে। এদের এখন এত মতা। এলাকাটি এখন ত্রাসের রাজত্ব কায়েম কয়েম করেছে। মেম্বর হয়ে এত মতা যদি হয় তাহলে চেয়ারম্যান হলে কত কিছু করতো। অভিযোগের বিষয়ে জানতে ইউপি মেম্বার রোজিনা আক্তারের ফোনে কয়েকবার ফোন করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।
যশোর কোতয়ালি থানার এসআই মনিরুজ্জামান বলেন, আমি ইউপি সদস্য রোজিনা আক্তার ও তার ভাই এবং মায়ের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্তধীন রয়েছে।