যশোর টাউন হল মাঠে ঐতিহাসিক ‘উন্মুক্তমঞ্চ’ আধুনিকায়নে নির্মাণ কাজের শিলান্যাস করলেন প্রতিমন্ত্রী স্বপন

0
395

স্টাফ রিপোর্টার : স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য এমপি শনিবার ১৯৭১ সালের ১১ ডিসেম্বর দেশের প্রথম শত্রুমুক্ত জেলা যশোরের ঐতিহাসিক টাউন হল মাঠে প্রবাসী সরকারের প্রথম জনসভাস্থল ‘উন্মুক্ত মঞ্চ’র শিলান্যাস আধুনিকায়নে নির্মাণ কাজের শিলান্যাস করেন।
পাকিস্তানী সশস্ত্র বাহিনীমুক্ত যশোরের এ মঞ্চে তৎকালীন বাংলাদেশ সরকারের ওই প্রথম জনসভা থেকে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম ও প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদ ‘ওয়্যার ট্রাইব্যুনাল’ গঠন করে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও জামায়াতে ইসলাম, মুসলীম লীগসহ সব ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের ঘোষণা দিয়েছিলেন।
সেদিনের সেই উন্মুক্ত মঞ্চ বর্তমানে স্বাধীনতা মঞ্চ নামে পরিচিত হলেও সংস্কারের অভাবে দৈনদশায় পরিণত হয়। মাঝে মাঝে ‘চুনকাম’ করা হলেও এ মঞ্চের সংস্কার করা হয়নি কখনও। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে অবশেষে দৈন্য ও মলিনদশা থেকে মুক্তি পাচ্ছে এ ঐতিহাসিক মঞ্চ। স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে যশোরবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি বাস্তবায়নে এ মঞ্চের সংস্কার কার্যক্রম শুরু হচ্ছে; যে কাজের শিলান্যাস করা হয় শনিবার। মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত মঞ্চটির মূল কাঠামো অুন্ন রেখে করা হবে আধুনিকায়ন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন এমপি কাজি নাবিল আহমেদ, সাবেক এমপি অ্যাড. মনিরুল ইসলাম মনির, জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম, পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুজ্জামান পিকুল, যশোর ইনস্টিটিউটের সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. আবুল কালাম আজাদ লিটু, বীরমুক্তিযোদ্ধা অ্যাড. রবিউল আলম, এএইচএম মুযহারুল ইসলাম মন্টু, একেএম খয়রাত হোসেনসহ যশোরের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
যশোর ইনস্টিটিউটের সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, যশোর ইন্সটিটিউটের সম্পাদকের কার্যালয় ও মঞ্চের সংস্কার-উন্নয়নের জন্য ব্যয়ের ১ কোটি ৩৫ লাখ টাকার বরাদ্দ ইতোমধ্যে পাওয়া গেছে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে উন্নয়ন ও সংস্কারের কাজে এই ব্যয়ের অর্থসংস্থান করছে। জেলা পরিষদের ত্ত্বাবধানে টাউন হল ময়দানের উন্নয়ন ও সংস্কার কাজের নক্শার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ঐতিকহাসিক মঞ্চটি সংস্কার করে সেখানে একটি গ্রীন রুম, ওয়েটিং রুম ও মেকাপ রুম করা হবে। টাউন হল মাঠে ওয়াকওয়ের পাশাপাশি, বসার বেঞ্চ নির্মাণ, সৃদৃশ্য গাছ রোপণ ও ব্যবস্থা করা হবে দৃষ্টিনন্দন আলোজসজ্জার। ইতোমধ্যে টেন্ডার প্রক্রিয়াও সম্পন্ন হয়েছে।
তিনি পর্যায়ক্রমে জানান, মাঠের চারিদিকে ওয়াকওয়েসহ নির্মাণ হবে সুদৃশ্য বসার চেয়ার। ঐতিহ্যবাহী এই মাঠ সংলগ্ন শতবর্ষী প্রতিষ্ঠান ইনস্টিটিউট আঙিনার পুকুরটিরও করা হবে সংস্কার। পুকুরটিতে দৃষ্টিনন্দন একটি ফোয়ারা ও পাশ দিয়ে হাঁটার রাস্তাসহ বসার বেঞ্চ নির্মাণ হবে বলে তিনি জানান।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here