রাসেল মাহমুদ : রূপদিয়া ওয়েল ফেয়ার একাডেমীতে ভোর ৬টা থেকে বিদ্যালয়ের ক’েই এক্সটা কাসের নামে কোচিং বাণিজ্য চালাচ্ছে মারুফুল ইসলাম নয়ন সহ একাধিক শিক। নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে শ্রেণীকরে আদলে কোচিং সেন্টারেই চলছে বিশেষ পাঠদান। এই প্রতিষ্ঠানের’ই এক শ্রেণির শিক দীর্ঘদিন যাবত বাণিজ্যিক ভিত্তিতে কোচিং পরিচালনা করে আসছেন অবলীলায়। এটি এমন পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছেছে যেখানে অভিভাবক ও শিার্থীরা কোচিং বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত শিকদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছেন। যা পরিবারের উপর আর্থিক চাপ সৃষ্টি করছে এবং এ ব্যয় নির্বাহে অভিভাবকগণ’কে হিমশিম খেতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এছাড়া অনেক শিক শ্রেণিকে পাঠদানে মনোযোগী না হয়ে কোচিং এর দিকে বেশি সময় ব্যয় করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
এেেত্র সমস্যার মধ্য পড়তে হচ্ছে দরিদ্র ও পিছিয়ে পড়া শিার্থীরা ও অভিভাবকগণের। চরমভাবে তিগ্রস্ত হচ্ছে তারা। এসব বিষয়ে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় কোচিং বাণিজ্য বন্ধে সরকার নীতিমালা প্রণয়ন করে। নীতিমালায় বলা হয়, কোন শিক তার নিজ প্রতিষ্ঠানের শিার্থীকে কোচিং করাতে পারবেন না। প্রতিষ্ঠান প্রধানের অনুমতি সাপেে অন্য প্রতিষ্ঠানের সর্বোচ্চ ১০ জন শিার্থীকে প্রাইভেট পড়ানো যেতে পারে। অথচ এসব নির্দেশনাকে বৃদ্ধাংঙ্গুলি দেখিয়ে ভোর থেকে কয়েকটি ব্যাচে চালিয়ে যাচ্ছে কোচিং কাস। যদিও সাংবাদিকদের বলছে কোচিং নয় এটা এক্সটা কাস। সচেতন মহলের দাবী যদি এটা এক্সটা কাসই হবে তবে কেন অফিস টাইমের পূর্বে। আর সকল শ্রেণীর শিার্থীদের একই সাথেই বা কেন? সরকারি বিদ্যালয়গুলো এর বাইরে নয়, নিয়ম ভেঙে অতিরিক্ত কাসের নামে চলছে অতিরিক্ত আয়। কোচিং এ আসা বেশির ভাগ শিার্থী জানায়, সামনে পরীার কারণে স্কুলে কোচিংয়ে কিছুটা সময় পরিবর্তন হয়েছে, তবে কোচিং বন্ধ হয়নি। বিদ্যালয়ের কাসে তেমন লেখাপড়া না হওয়ার কারণে কোচিং করছেন তারা। আবার অনেকে বলছে বিদ্যালয়ে নির্ধারিত কাসে বুঝে ওঠার আগেই ঘণ্টা বেজে যায়। শিকরা না বুঝানোর কারণে কোচিং এ এসে তারা সেই শিকের কাছেই পুনরায় বেশি করে তা বুঝে নেয়।
কোচিং করতে আসা একাধিক (নাম প্রকাশ না করার শর্তে) শিার্থী জানায়, স্কুল চলাকালীন কাসে স্যাররা মাত্র ৪০ মিনিট সময় কাস করান। এত অল্পসময়ে কাস হওয়ার কারণে বেশির ভাগ শিার্থী শিকদের কথা বা পড়া তেমন বুঝে উঠতে পারে না। নির্ধারিত ৪০ মিনিট সময় পার হতে না হতেই ঘণ্টা পড়ে যায় এবং পরবর্তী অন্য বিষয়ের কাস শুরু হয়। কিন্তু কোচিং কাসে স্যারেরা আড়াই ঘণ্টা পর্যন্ত কাস নেন এবং ভালোভাবে বুঝিয়ে দেন। স্কুলের কাসের তুলনায় কোচিংয়ে ভালো লেখাপড়া হয়। স্কুলে তেমন ভালো একটা লেখাপড়া হয় না। এ ছাড়া বিদ্যালয়ে শিকরা সময়ের অভাবে সেভাবে কাস নিতে পারে না, তবে কোচিং এ অনেক সময় দেন শিকরা, স্কুলের শিক নয়ন স্যারের কাছে তারা কোচিং করেন। যেখানে তাদের কাসের প্রায় ৮০ থেকে ৯০ জন নিয়মিত পড়ছে। কোচিং এর জন্য স্যাররা প্রতি শিার্থীর কাছ থেকে মাসে মোটাংঙ্কের অর্থ গ্রহণ করেন। বিষয়টি নিয়ে অভিযুক্ত নয়ন বলেন সাবজেক্ট প্রতি ২৫০ টা গ্রহণ করা হয়। বিদ্যালয়ের কাসে শিার্থীদের কোচিং করানোর দৃশ্য দেখা গেলেও এ বিষয়ে ভিন্ন ব্যাখ্যা দিচ্ছেন সংশ্লিষ্ট শিকরা। রূপদিয়া ওয়েল ফেয়ার একাডেমীর প্রধান শিক বলেন। তারা বিদ্যালয়ের ভিতরে অতিরিক্ত কাস করাচ্ছন। কাসের শিার্থীর মধ্যে সকলেই পিছিয়ে পড়া, অতিরিক্ত কাস করছে এ বিষয়ে শিকরা কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে অতিরিক্ত কাসের নামে কোচিং ব্যবসা চালাচ্ছেন বেশির ভাগ শিক। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন অবিভাবক জানান, স্কুলগুলোতে লেখাপড়া তেমন হচ্ছে না, শিকরাও ঠিকমতো মনোযোগ সহকারে বাচ্চাদের কাস নিচ্ছেন না। শিকরা নিজেরাই ছাত্র-ছাত্রীদের কোচিংমুখী করে তুলছেন। স্কুলের কাস শিকের কাছে কোচিং না করালে পরীার ফলাফলে বাচ্চাদের নম্বর কম দেন। অনেকটা বাধ্য হয়েই বেশির ভাগ অবিভাবক তাদের সন্তানদের কোচিং এ পড়াচ্ছেন। শিকদের আচরণ এখন আর প্রকৃত শিকদের মতো নেই। স্কুলে চাকরি করা বেশির ভাগ শিক এখন কোচিং ব্যবসা খুলে বসেছেন। যেখানে সরকারি বেতন বাদ দিয়েও শিকরা প্রতিমাসে অতিরিক্ত অর্থ আয় করছেন। এ বিষয়ে কোনো অবিভাবক প্রতিবাদ করলে তাদের সন্তানদের ভিন্ন চোখে দেখেন শিকরা। তাই অবিলম্বে সরকারি স্কুলে কোচিং বন্ধ করা উচিত বলে অভিমত তাদের।
Home
স্থানীয় খবর রূপদিয়া ওয়েলফেয়ার একাডেমীতে এক্সটা কাসের নামে কোচিং বাণিজ্য তুঙ্গে! তোয়াক্কা করেনা...