আনিছুর রহমান : খাদ্যের সন্ধানে কেশবপুরের সেই একদল কালোমুখ হনুমান এখন মনিরামপুরের লোকালয়ে। বিগত দুই আড়াই মাস ধরে ছোটবড় অন্তত ২০/২২টি হনুমান দলবেঁধে উপজেলার শ্যামকুড় ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। স্থানীয়রা যথাসাধ্য তাদের খাবারের ব্যবস্থা করলেও হনুমানের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠছেন তাঁরা। হনুমান বাড়িতে বা সবজি খেতে ঢুকে উৎপাত চালাচ্ছে। ৪ এপ্রিল সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে হনুমানের দল আসে শ্যামকুড় যমযমিয়া দাখিল মাদরাসায়। প্রথমে তারা মাদরাসার প্রাচীরে অবস্থান নেয়। পরে খাবার খুঁজতে শ্রেণি কে ঢুকে পড়ে। কালামুখী হনুমানের আদিবাস যশোরের কেশবপুর উপজেলা সদরে। সেখানে তাদের রণাবেণের জন্য সরকারিভাবে ব্যবস্থা রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে সরকারি খরচে নিয়মিত হনুমানের খাবারের ব্যবস্থা থাকলেও তা সঠিকভাবে বিতরণ করা হয় না। ফলে খাবারের খোঁজে বছরের অধিকাংশ সময় হনুমানের দল মনিরামপুরসহ আশপাশের এলাকায় ঢুকে পড়ে।
শ্যামকুড় যমযমিয়া দাখিল মাদরাসার সহসুপার আব্দুল মোত্তালিব বলেন, প্রায়ই হনুমানের দল মাদরাসায় ঘোরাঘুরি করে। এবারই সবচেয়ে বেশি সংখ্যক ২০/২২টি হনুমান একসাথে এসেছে। শিার্থীরা ওদের খাবার দিয়েছে। আরো খাবারের আশায় ওরা শ্রেণিকে ঢুকে পড়ে। পরে হনুমান তাড়িয়ে দিয়ে কাস করাতে হয়েছে। এ শিক বলেন, গত দু মাস ধরে হনুমাদের দল এ অঞ্চলে আছে। রাতের বেলায় ওরা গাছে থাকে। সকাল হলে গ্রামে ছড়িয়ে পড়ে। মনিরামপুর কেশবপুর অঞ্চলে দায়িত্বপ্রাপ্ত বন কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা বলেন, খাবারের খোঁজ না অভ্যাসগত কারণে হনুমানগুলো আশপাশের এলাকায় বিচরণ করে।
তিনি বলেন, কেশবপুরে ছোটবড় অন্তত ৩৫০ থেকে ৩৬০টি হনুমান রয়েছ।