ভীড় লেগেছে রূপদিয়া বাজারের পাইকারী মোকামে চলছে দৈনিক ৮-১০ গাড়ি তরমুজ কেনাবেচা

0
205

রাসেল মাহমুদ : একটা সময় যশোরের রূপদিয়ার তরমুজের বেশ সুখ্যাতি ছিলো দেশ জুড়ে। কালের পরিক্রমায় এ অঞ্চলের তরমুজের আবাদকৃত বেশির ভাগ জমিতে ইটভাটা, জনবসতি গড়ে ওঠার কারণে রসালো মিষ্টি স্বাদের ফল তরমুজের রাজ্য খ্যাত; যশোর সদর উপজেলার রূপদিয়ার, নরেন্দ্রপুর, জিরাট, বলরামপুর, খাটরার বিল, ঘোড়াগাছা, কচুয়াসহ এ সব এলাকা থেকে এখন তরমুজের আবাদ উঠে গেলেও ঐতিহ্য ধরে রেখেছে রূপদিয়া বাজারে অবস্থিত দেশের অন্যতম তরমুজ-বাঙ্গির পাইকারি মোকাম। প্রতিবছর সিজনের শুরু থেকেই কুয়াকাটা, বরিশাল অঞ্চল থেকে বড়বড় ট্রাক যোগে খেতেল (কৃষক) সরাসরি রূপদিয়ায় অবস্থিত তরমুজের পাইকারী এবাজারে নিয়ে আসেন। এখান থেকে খুচরা ওও পাইকাররা ক্রয় করে নিয়ে যায় বাংলাদেশের রাজধানীসহ বিভিন্ন জেলা শহরে। প্রত্যেক বছরের ন্যায় এবারও জমজমাট হয়ে উঠেছে রূপদিয়াস্থ বৃহত্তম তরমুজের এই মোকাম। কাকডাকা ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কর্মচঞ্চল থাকে এই বাজারটি। স¤প্রতি পাইকারি ও খুচরা বেচাকেনায় ব্যস্ত সময় পার করছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসা ক্রেতা ও বিক্রেতারা। বৃহত্তর যশোর জেলা শহরের নিকটবর্তী সুন্দর পরিবেশ ও যোগাযোগ ব্যবস্থা ভাল হওয়ায় কারণে দূর-দূরান্ত থেকে ব্যবসায়ীরা মৌসুমের শুরু থেকে রূপদিয়ার এ বাজারে ব্যবসা করতে আসেন। রূপদিয়াবাসীর ভাষ্য মতে, বছরের মৌসুমী ফল তরমুজ, বাঙ্গি, আম, কাঁঠালসহ বিভিন্ন ফল-ফলাদি ওঠার আগ সময়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ব্যাপারীরা রূপদিয়ার এ বাজারে এসে দোকান ঘর, গোডাউন এমনকি খালি জায়গাও চুক্তিতে ভাড়া করে অস্থায়ীভাবে আড়ৎ স্থাপন করে ব্যবসা পরিচালনা করেন। বছরের শুরু থেকেই মিষ্টি স্বাদের রসালো ফল তরমুজের চালান আসতে শুরু করেছে গাড়িকে গাড়ি। রূপদিয়া বাজারের তরমুজ ব্যবসায়ী সেলিম হোসেন বলেন, বর্তমানে দণিাঞ্চলের ভোলা, পটুয়াখালী, কুয়াকাটা, রাঙাবালী, কুরালিয়া, পানপুরি, থেকে প্রত্যেক দিন কয়েক গাড়ি তরমুজ রূপদিয়ার বাজারে আসলেও এখন বেশিরভাগই আসছে পটুয়াখালী ও কুয়াকাটা থেকে। মোকামে নিয়ে আসার সাথে-সাথে পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতাদের মাধ্যমে যশোরসহ বিভিন্ন জেলার হাট-বাজারে পৌছে যাচ্ছে। মানিক মিয়া নামের আরেক ব্যাপারী জানান, ভরা মৌসুম থেকে এই বাজারটিতে গড়ে প্রতিদিন ৮ থেকে ১০ ট্রাকের মত তরমুজ বিক্রি হয়। বড় আকৃতির ১শ’ পিচ তরমুজ বর্তমানে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা, ৫ কেজি ওজনের ১শ’ পিচ ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা ও তার নিচের ওজনেরগুলো ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা পর্যন্ত পাইকারি দরে বিক্রি হচ্ছে। ক্রেতাদের মাঝে সাধারণত বাংলালিং ও কালো জাতের তরমুজের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। ব্যবসায়ীরা বলেন এক নাগাড়ে ৪ মাস অর্থাৎ জ্যৈষ্ঠ মাসের শেষ পর্যন্ত ভরপুর বেচাবিক্রি চলবে রূপদিয়ার এই তরমুজের হাটে।”

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here