চৌগাছায় জমির নামজারিতে মানুষের ভোগান্তি চরমে

0
245

চৌগাছা(যশোর)প্রতিনিধি:যশোরের চৌগাছায় জমির নামজারি (নামপত্তন) করা নিয়ে মানুষের দূর্ভোগ চরমে উঠেছে। নামজারির আবেদন করে মাসের পর মাস পার হলেও হচ্ছে না সমাধান। বিষয়টি গুরুত্বের সাথে আমলে নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহনে সংশ্লিষ্ঠদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগীরা। ১১টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার সমন্বয়ে গঠিত যশোরের চৌগাছায় প্রায় সাড়ে ৩ লাখ মানুষের বসবাস। অধিকাংশ মানুষের জায়গা জমি নিয়ে প্রতি দিনই কোন না কোন সমস্যায় লেগে আছে। এই সমস্যা সমাধানে তারা প্রথমে সংশ্লিষ্ঠ ইউনিয়ন ভূমি অফিস তারপর ছুটতে হয় চৌগাছায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) কার্যালয়ে। এখানে নানা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে, বিশেষ করে জমির নামজারিতে যেয়ে মানুষ যেন নাজেহাল হয়ে যাচ্ছে। নামজারির আবেদনের ২৮ কর্ম দিবসে তা সম্পন্ন করার কথা থাকলেও কয়েক মাস লেগে যাচ্ছে তারপরও মিলছেনা সমাধান। বিগত এ্যাসেল্যান্টের আমলে এই সমস্যা দীর্ঘ থেকে দীর্ঘ হয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে। বর্তমানে সহকারী কমিশনারের পদটি শুন্য, তাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি মানুষের ভোগান্তি কমাতে অফিস টাইম ছাড়াও ভূমি অফিসের কাজ করে জট কমানোর চেষ্টা করছেন। সূত্র জানায়, ২০২১ সালের ১৫ ফের্রুয়ারী সাবেক সহকারী কমিশনার (ভূমি) নারায়ন চন্দ্র পাল চৌগাছা থেকে বদলী হন। ওই দিনেই যোগদান করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) কাফি বিন কবির। তিনি যোগদানের পর হতেই শুরু হয় নামজারিসহ অফিসের নানা কাজে জটলা। জমি মালিকরা নামজারির আবেদন করে মাসের পর মাস পার হলেও মেলেনি কাংখিত সেই নামজারি। এরই মধ্যে চলতি বছরের ২ জানুয়ারী কাফি বিন কবির অন্যত্র বদলি হলে সেই জট আরও বেড়ে যায়। বর্তমান উপজেলা নির্বাহী অফিসার চৌগাছায় যোগদানের পর এ্যাসেল্যান্ট অফিসের এই দুরবস্থা দেখে তিনি অফিস টাইম ছাড়াও অতিরিক্ত সময় দিয়ে জট কমানোর চেষ্টা করছেন। ভুক্তভোগী প্রবাসী এক ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, করোনার সময় দেশে ফিরে আসতে বাধ্য হই। অথনৈতিক সংকটের কারনে একটি জমি বিক্রি করতে যেয়ে নতুন ভাবে নামজারির প্রয়োজন পড়ে। নামজারি করতে যেয়ে পড়তে হয় সমস্যায়। বিষয়টি নির্বাহী অফিসার স্যারকে বলার পর সমাধান মেলে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০২০-২০২১ অর্থ বছরে অনলাইনে একাধিক নামজারির আবেদন পড়ে। দিন বা সপ্তাহ না কয়েক মাস পার হয়েছে এখনও কোন খবর আসেনি। আবেদন নং ২৮৯৩৮০৩, ২৯১০৯৪৫, ২৯১০৮৩২, ২৮৯৪১০৮, ২৮৯৩৮৪৮ ব্যক্তিরা দিনের পর দিন ভূমি অফিসে ঘুরতে ঘুরতে আজ কান্ত বলে জানান। ভুক্তভোগী রমজান আলী, শাহাজান আলী, শামীম আহমেদ বলেন, আমরা সাধারন মানুষ মাঠে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করি। জমির সমস্যা নিয়ে চৌগাছায় মাসের পর মাস এসেও কোন কাজ হয়না। আমাদের এই ভোগান্তির কথা বলার কোন জায়গা নেই। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইরুফা সুলতানা ভোগান্তির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বিগত দিনে সে ভাবে কাজ না হওয়ায় এই জটের সৃষ্টি হয়েছে। আমি এখানে যোগদানের পর বিষয়টি জানতে পেরেছি। বর্তমানে নিজের বিভিন্ন দপ্তরের কাজ করার পাশাপাশি গুরুত্ব সহকারে ভূমি অফিসের কাজ করে মানুষের কষ্ট লাঘবের চেষ্টা করছি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here