কখনও বিশেষ প্রতিনিধি কখনো শেয়ার হোল্ডার পরিচয় দাপিয়ে বেরাচ্ছে, কে এই মাসুরা টুনি ?

0
721

নিজস্ব প্রতিবেদক : যশোর শহর ও বিভিন্ন উপজেলায় প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে নির্বিঘেœ প্রতারনা চালিয়ে যাচ্ছে মাসুরা টুনি নামের এক নারী। সুত্রে জানা গেছে, তিনি চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনা থানাদিন তেঘরী গ্রামের আঃ হালিমের মেয়ে। বর্তমানে যশোর শহরে থেকে বিভিন্ন ধরনের প্রতারনা করে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। জনতার ইশতেহার নামের একটি পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে পরিচয় আবার কখনও পত্রিকার মালিক হিসেবে নিজেকে জাহির করে দাপিয়ে বেরাচ্ছেন গোটা যশোর। পত্রিকার সাংবাদিক বানানোর নামে সহজ সরল যুবকদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে টাকা। ভুক্তভোগী বাঘারপাড়া উপজেলার জুবায়ের হোসেন জানায়, প্রতারক মাসুরা টুনি আমার ম্যাসেন্জারে ভুয়া প্রেস আইডি কার্ডের ছবি পাঠিয়ে ৩ হাজার টাকা দাবী করে। আমি তখন আমার এক বড় ভাইকে জানালে তিনি টাকা দিতে নিষেধ করেন। সাংবাদিক পরিচয়ধারী এসব প্রতারক চক্র শুধু পত্রিকার আইডি কার্ড বহনই নয়, বিভিন্ন ঘটনাস্থলে গিয়ে তারা মূল ধারার বড় পত্রিকার সাংবাদিকও পরিচয় দেয়। তা ছাড়া জেলা শহরে ভূইফোঁড় পত্রিকা অফিস থেকে ‘সাংবাদিক পরিচয়পত্র’ও বিক্রি করে থাকে। এসব পরিচয়পত্র পকেটে রেখে বিভিন্ন প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস ও মোটরসাইলের সামনে ‘সাংবাদিক’ বা ‘প্রেস’ লেখা স্টিকার লাগিয়ে ঠাটে বাটে চষে বেড়ায় এই চক্র। দৈনিক জনতার ইশতেহার অফিস সুত্রে জানা যায়, গত কয়েকমাস আগে যশোর জেলায় মাসুরা টুনি নামে এক নারীকে পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে নিয়োগ দেয় পত্রিকা কতৃপ। এরপর থেকেই তিনি ছলে বলে কৌশলে যশোর জেলায় অর্থের বিনিময়ে বিভিন্ন মানুষের কাছে দৈনিক জনতার ইশতেহারের প্রতিনিধি সাংবাদিকের কার্ড বানিয়ে দিয়েছেন। এ সকল কার্ডে পত্রিকার সম্পাদক এমএ হানিফ এর সার ও ভুয়া সিরিয়াল নাম্বার করেছে। এ ছাড়া অফিস কতৃক নিয়োগকৃত প্রতিনিধিদের কাছ থেকে অফিসের নাম ভাঙিয়ে বিভিন্ন সময়ে মোটা অংকের টাকা দাবী করেছেন। মাসুরা টুনির বিরুদ্ধে এ প্রতারণা অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার পর দৈনিক জনতার ইশতেহারের সম্পাদকের সারিত পত্রে মাসুরা টুনি কে পদ থেকে বহিস্কার করা হয়েছে। এবং তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে ভুক্তভোগীদের। যশোরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখা যায় সহিদুজ্জামান সেলিম (চঞ্চল) নামে এক ব্যাক্তি জনতার ইশতেহারের পরিচয় বহন করা একটি আইডি কার্ড ভেসে বেড়াতে। সহিদুজ্জামানের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, মাসুরা টুনি আমাকে ভুয়া আইডি কার্ড দিয়ে আমার সাথে প্রতারনা করেছে। আমাকে ঢাকা অফিস থেকে এ বিষয়ে ইতোমধ্যে সতর্ক করেছে। খোজ নিয়ে জানা যায়, যশোর জেলায় দৈনিক জনতার ইশতেহার পত্রিকার অফিস কতৃক নিয়োগকৃত প্রতিনিধি ২/৩ জন থাকলেও এ পত্রিকার সাংবাদিক পরিচয় দিচ্ছে প্রায় ডজনখানেক। এরা সকলেই মাসুরা টুনির ভুয়া পরিচয়পত্র নিয়ে টিম গঠন করছে। এছাড়া যশোর জেলায় ও বিভিন্ন উপজেলায় ৮-১০ জন প্রতিনিধি রয়েছে। যাদের পরিচয়পত্রের সাথে অফিসের কোন সংশ্লিষ্টতা নেই। এ বিষয়ে দৈনিক জনতার ইশতেহার পত্রিকার সম্পাদক এমএ হানিফ বলেন, পত্রিকার সাবেক বিশেষ প্রতিনিধি মাসুরা টুনি পত্রিকার নাম ও সার জাল করে বিভিন্ন অপরাধ মূলক কর্মকান্ড করায় তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ভুক্তভোগীরা আইনত ব্যবস্থা নিতে পারেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here