বাগেরহাট ব্যুরো : রামপাল উপজেলার উজলকুড় ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান খাজা মঈন উদ্দিন আক্তারের প্রধান সহযোগী শিবনগর গ্রামের সন্ত্রাসী শহিদ ও তার বাহিনীর হাত থেকে রা পেতে দৈনিক প্রবাহের স্টাফ রিপোর্টার ও খুলনা মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন (এমইউজে) এর সদস্য এম এ আজিম খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি বরাবর লিখিত আবেদন করেছেন। ৭ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) তিনি এ আবেদন করেন।লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, তার ভাই সাবেক ছাত্রনেতা এম এ হাকিমকে ২০০৪ সালের ২৩ ডিসেম্বর রামপাল উপজেলার ২নং উজলকুড় ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান খাজা মঈন উদ্দিন আক্তারের প্রধান সহযোগী ও দেহরী শহিদ শেখ ওরফে র্যাব শহিদসহ অন্যান্য সহোযোগিদের দ্বারা বেলা ১১টার দিকে ধরিয়ে নিয়ে হত্যা করায়।তখন ওই নিহত চেয়ারম্যানের ভাই সিরাজ শেখ (জামায়াত নেতা মাওলানা গাজী আবুবকর সিদ্দিক হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত ২নং আসামী) উপস্থিত ছিলেন। এ ঘটনায় সাংবাদিক এম এ আজিমের পরিবার বাগেরহাট আদালতে মামলা করতে গেলে হত্যার হুমকি দেয় হত্যাকারীরা। ফলে ভয়ে মামলা করতে পারেনি তারা।পরবর্তীতে ২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান খাজা মঈন উদ্দিন আক্তার আততায়ির হাতে নিহত হন। এই হত্যা মামলায় সাংবাদিক এম এ আজিমকে সন্দেহজনক ভাবে ১নং আসামি করা হয়। মামলা নং জি আর ২৪/২০১৯। পরবর্তীতে এই সাংবাদিক এম এ আজিম আইনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে উক্ত মামলায় বাগেরহাট আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। ৩ মাসেরও বেশি দিন কারাভোগের পর উচ্চ আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পেয়ে পূণরায় পেশাগত কাজে যোগদান করেছেন তিনি। সাংবাদিক আজিম অভিযোগ করেন, কয়েকমাস আগে তার পিতা ইন্তেকাল করেন। পিতার ইন্তেকালের পর চিন্তায় অনেকটা অসুস্থ হয়ে পড়েন তার মা। মায়ের অসুস্থতার কথা জেনে পেশাগত কাজের ব্যস্ততার মধ্যে দিয়েও মাকে দেখার জন্য এবং পবিত্র রমজান মাসের সেহেরি এবং ইফতারিথর বাজার দিতে ১ এপ্রিল শুক্রবার গিয়েছিলেন গ্রামের বাড়িতে।কিন্তু ওইদিন বিকেল ৫টার দিকে উক্ত উজলকুড় ইউনিয়নের বালিয়া ভিটা স্কুলের পাশে দোকান থেকে চাল ক্রয় করে ভ্যানযোগে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়ার পর হঠাৎ করে মামলার প্রধান স্বাী সন্ত্রাসী শহিদ, ডাকাত ও বোমাবাজ শহিদ এবং ওরফে র্যাব শহিদ ওই স্থানে এসে তাকে নজরদারি করে এবং তখন দেখতে পাই সে কয়েকজনকে তার নিজের মুঠোফোনের মাধ্যমে ডাকছে। সাংবাদিক আজিম বুঝে উঠতে পেরে ওখান থেকে কৌশল অবলম্বন করে তার মোটরসাইকেল বাইক নিয়ে দ্রুত ওই স্থান ত্যাগ করে সোনাতুনিয়া মাদ্রাসার দিকে আসার পথে পথিমধ্যে তেতুলতলা নামক স্থানে আসলেই সামনে থেকে ৩টি মোটরসাইকেলে আসা নিহত সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান খাজা মঈন উদ্দিন আক্তারের ভাই সিরাজ শেখ, তার ভাই জাহিদুল ইসলাম বাবলাসহ ৫/৬ জনের একটি সংঘবদ্ধ দলের সামনে পড়ে।কিন্তু সাংবাদিক আজিমের মুখে মাস্ক পরিধান অবস্থায় থাকার কারনে তারা তাকে চিনতে পারেনা। ওখান থেকে নিকটতম আত্মীয়ের বাড়িতে আসার কিছুণ পর ওই বালিয়াভিটা এলাকার কয়েকজন শুভাকাঙ্খীরা সাংবাদিক আজিমকে ফোন করে বলে তোমাকে খোঁজে যেখানে থাকা হোক না কেন দ্রুত সেখান থেকে চলে যেতে বলে। এমনকি তার কিচ্ছুণ পরে সাংবাদিক আজিম জানতে পারে তাকে ফাঁসানো ষড়যন্ত্রমূলক মামলার স্বাীরা মোটরসাইকেলের মহড়াও দিচ্ছে। ওই এলাকা থেকে সে যাহাতে কোনভাবে বের হতে না পারে সেই অপচেষ্টায় তারা এলাকায় অবরূদ্ধও করে রাখে। মুহুর্তের মধ্যে সাংবাদিক আজিম দৈনিক প্রবাহ অফিসের সিনিয়র সাংবাদিকদের ফোন করে বিষয়টি জানাই। তাৎনিকভাবে উক্ত বিষয়টি জানাজানি হলে বাগেরহাট সদর উপজেলার চুলকাটি প্রেসকাবের কর্মরত সাংবাদিকরা ওই এলাকা থেকে ওইদিন সন্ধ্যায় উদ্ধার করে তার কর্মরত এলাকা খুলনায় পৌঁছে দেয়। তিনি আরও অভিযোগ করেন, ২০১৯ সালের অক্টোবর মাসে উল্লেখিত মামলায় জামিনে মুক্তি পেয়ে তার পেশাগত দায়িত্ব পালন করাকালে খুলনার সাত রাস্তার মোড়ে ওই চিহ্নিত সন্ত্রাসী র্যাব শহিদ সহ তার সাথে থাকা আরোও কয়েকজন তাকে হামলা চালানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। এর আগে ২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারি দুপুরে স্থানীয় ভরসাপুর বাস¯ট্যান্ড সড়কের পাশে সাংবাদিক আজিমের বৃদ্ধ পিতা আব্দুল বারিক শেখ জীবিত থাকাকালীন তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে উক্ত নিহত সাবেক চেয়ারম্যান খাজা মঈন আক্তার। ওই সময় আক্তার আরো বলেছিল সাংবাদিক আজিমকে ভবিষ্যতে বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় জড়ানো হবে এবং খুন জখমের হুমকিও দিয়েছিল। এছাড়া ছেলে হাকিমকে যেভাবে হারানো হয়েছে সেইভাবে এ ছেলেকেও হারাতে হবে বলেও হুমকি দেয়। এ ঘটনায় রামপাল থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়। যার জিডি নং- ২৭৬, তারিখ- ১০/১/১৫ইং। তারপর থেকে এখনও পর্যন্ত তিনি নিহত চেয়ারম্যানের বাহিনী দ্বারা হুমকি-ধামকির স্বীকার হয়ে আসছে। এমনকি উল্লেখিত সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান হত্যার ঘটনায় তাকে ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে ফাঁসিয়ে হয়রানি করছে বলে এ ঘটনার ন্যায়বিচারের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী সাংবাদিক এম এ আজিম। অভিযোগে আরো বলা হয়েছে, ফাঁসানো মিথ্যা মামলা বিচারাধীন থাকা অবস্থায় হয়ত তারা নিশ্চিত হয়েছেন-যে এ মামলায় সাংবাদিক এম এ আজিমের কিছুই হবেনা, তাই তারা তাকে হত্যা করতে চেয়েছেন। তার ভাই হাকিমকে যেভাবে হত্যা করেছে তাকেও একইভাবে হত্যা করতে পারে বলে সে আশংকা করছে।এ ঘটনায় ভুক্তভোগী সাংবাদিক এম এ আজিম এবং তার পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। যাহাতে স্বাভাবিক জীবন-যাপন করতে পারে সেই দাবি জানিয়েছেন।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সন্ত্রাসী শহিদ এলাকায় র্যাব শহিদ হিসেবে পরিচিত। এই দেহরী শহিদের বিরূদ্ধে বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। প্রশাসন তদন্ত করে খতিয়ে দেখলে অনেক তথ্য বেরিয়ে আসবে বলেও সূত্র জানিয়েছে।
গাংনীতে মসজিদের সামনে থেকে ৪ মুসল্লির মোটরসাইকেল চুরি
মেহেরপুর অফিস: জুম্মার নামাজের সময় গাংনী উত্তর পাড়া ও পৌর মসজিদের সামনে থেকে ৪টি মোটরসাইকেল চুরির ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (১৬ মে) মুসল্লীদের নামাজ পড়ার...
পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ে প্রয়োজনে আন্তর্জাতিক আদালতে যেতে হবে – অধ্যাপক নার্গিস বেগম
স্টাফ রিপোর্টার ॥ ঐতিহাসিক ফারাক্কা দিবসের আলোচনায় সভায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক নার্গিস বেগম বলেছেন, ভারত পানিকে মরণাস্ত্র হিসেবে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ব্যবহার করছে। যা...
আশাশুনিতে খুলনার তারুণ্যের সমাবেশ সফল করতে শুভেচ্ছা মিছিল পথসভা
এম এম সাহেব আলী আশাশুনি থেকে; আগামীকাল ১৭ই মে খুলনার তারুণ্যের সমাবেশ সফল করতে উপজেলা যুবদলের শুভেচ্ছা মিছিল ও পথসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে । শুক্রবার...
আশাশুনির বড়দলে খুলনার তারুণ্যের সমাবেশ সফল করতে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত
এম এম সাহেব আলী আশাশুনি থেকে; খুলনায় তারুণ্যের সমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে আশাশুনি বড়দলে যুবদলের প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে । গতকাল বিকালে গোয়ালডাঙ্গা বাজারে...
বেনাপোলে জেলা সেচ্ছাসেবকদলের” খুলনায় তারুণ্যের মহাসমাবেশ প্রচার লক্ষ্যে লিফলেট বিতরণ
বেনাপোল থেকে এনামুল হকঃ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান এর নির্দেশে খুলনায় তারুণ্যের মহাসমাবেশ করার জন্য। আগামীকাল ১৭ই মে খুলনায়...