তালায় চাঞ্চল্যকর লুৎফর নিকারী হত্যা মামলার তদন্ত রিপোর্ট নিয়ে ধুম্রজাল

0
292

তালা প্রতিনিধি: তালায় চাঞ্চল্যকর লুৎফর নিকারী হত্যা মামলার তদন্ত রিপোর্ট নিয়ে ধ্রæবজ¦াল সৃষ্টি হয়েছে। কালো টাকার বিনিময়ে মামলার বিতর্কিত চার্জশিট প্রেরণ সহ এফআই আর এ বর্ণিত সাক্ষীদের জবানবন্দী গ্রহণ না করার অভিযোগ উঠেছে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই প্রীতেশ রায় এর বিরুদ্ধে।মামলায় ৩০২ ধারা হতে আসামীদের অব্যাহতি প্রার্থনার বিরুদ্ধে মঙ্গলবার নারাজি পিটিশন শুনানী অুনষ্ঠিত হবে বলে একটি সূত্রে জানা গেছে। মামলার আদালতের তথ্য মতে,তালা থানা মামলা নাম্বার ১৭ তারিখ ১৮/০৮/২০২০ সালের জি আর ৭৩/২০ নং মামলায় এক তঞ্চকী চুড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তালা থানার সাবেক সেকেন্ড অফিসার(দায়িত্বপ্রাপ্ত) এসআই প্রীতেশ রায়। বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী চুড়ান্ত প্রতিবেদন/অভিযোগ পত্র আদালতে দাখিলের পূর্বে এজাহারে বর্ণিত স্বাক্ষীদের অথাৎ ফৌঃ কাযর্ঃ বিধি ১৬১ ধারার জবানবন্দী গ্রহণ করার সময় অব্যশই সকল স্বাক্ষীদের জবানবন্ধী গ্রহণ পূর্বক অভিযোগ পত্রের সহিত সংযুক্ত বাধ্যতামূলক। কিন্তু এসকল আইনের তোয়াক্কা না করে গত ইং৩১/০৮/২১ তারিখ অভিযোগ পত্র নং ৬৮ আনয়ন করেন। অভিযোগ পত্রে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই প্রীতেশ রায় ৩১/০৮/২১ ইং তারিখের স্বাক্ষরিত ও ১৮/০৮/২০ তারিখের স্বাক্ষীর জবানবন্ধীর নিজ স্বাক্ষরিত ফৌঃ কাযর্ঃ বিধির কপি সংযুক্ত করেন। উল্লেখিত চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার সুরতহাল রিপোর্টে লাথি মেরে লুৎফর নিকারীকে হত্যা করা হয়েছে বলে লিপিবদ্ধ থাকিলেও কোন কিছুর তোয়াক্কা না করে বিষয়টি চুপিসরে এড়িয়ে গিয়ে সম্পন্ন তর্কিত একটি তদন্ত প্রতিবেদন বিজ্ঞ আদালতে দাখিল করা হয়েছে। এজাহারে বর্ণিত লুৎফর নিকারী হত্যা মামলাটির ৩২৩/৩০৭/৩০২/১১৪ পিসি থাকলেও অভিযোগ পত্রে ৩৪২/৩২৩/৫০৬ ধারা উল্লেখ করেছেন। অভিযোগ পত্রে অত্র মামলার দুই নং আসামী রনি বিশ^াস এর বিরুদ্ধে পিসি ৩৪২/৩২৩/৫০৬ ও তিন নং আসামী শেখ তুহিন এর বিরুদ্ধে পিসি ৩২৩/৫০৬ ধারার অভিযোগ পৃথক পৃথক ভাবে সত্য প্রতিয়মান হয়েছে মর্মে উল্লেখ করেন। এদিকে ১ নং আসামী সরদার মশিয়ার রহমানের বিরুদ্ধে পিসি ৩০২/৩০৭/১১৪ ধারার অভিযোগ সত্যতা মেলেনি মর্মে উল্লেখ করেন। এমন শুভংকারের ফাকি মত হাস্যকর বিষয় অভিযোগ পত্রে দাখিলকৃত ১৬১ ধারার জবাবন্দীতে কোন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়নি। যাহা এজাহার বর্ণিত সাক্ষীদের কাছ জিজ্ঞাসা অন্তে জানিতে পারা যায়। তথ্যসূত্রে জানা যায়, গত ১৭ আগষ্ট (সোমবার) রাত ১১টার দিকে তালা উপজেলার নলবুনিয়া বিলের সরকারি খালে মাছ ধরার সময় সরদার মশিয়ার রহমানের মাছের ঘেরে মাছ চুরির অভিযোগ এনে লুৎফর নিকারীর ছেলে সেলিম নিকারীকে শ^াসরোধ হত্যার চেষ্টা করেন সাবেক শিবির নেতা বর্তমান কথিত বহিস্কৃত আ:লীগ নেতা সরদার মশিয়ার রহমান। সঙ্গে ছিলেন সরদার মশিয়ারের সহযোগী হাজরাকাটি গ্রামের মোসলেম শেখের ছেলে মাদক ব্যবসায়ী তালা সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি তুহিন শেখ ও বারুইহাটি গ্রামের জাবেদ আলী বিশ^াসের ছেলে রনি বিশ^াস।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here