পাইকগাছা প্রতিনিধি : খুলনার পাইকগাছায় অবশেষে হাই কোর্টের নির্দেশে পৌরসভার প্রানকেন্দ্রে’র আলোচিত মধূমিতা পার্কে গড়ে ওঠা অবৈধ পাকা স্থাপনা উচ্ছেদ করল প্রশাসন। ২০ মে-২৩ শনিবার দুপুরে খুলনা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ আল-আমিনের নেতৃত্বে বেকু ম্যাশিনে ৩০টি ব্যবস্যা প্রতিষ্ঠান ও অন্যান্য স্থাপনা গুড়িয়ে দেওয়া হয়। এ সময় আরোও উপস্থিত ছিলেন খুলনা জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ( উপসচিব) এমএম মাহমুদুর রহমান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মমতাজ বেগম, ওসি ( তদন্ত) তুষার কান্তি দাশসহ ফায়ার সার্ভিস ও বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজন।
উল্লেখ্য, ২০০১ সালে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর এক শ্রেনীর প্রভাবশালী ব্যক্তিরা পৌর সদরের মধূমিতা পার্কের জেলা পরিষদের মালিকানাধীন জায়গায় দখল করে পাকা স্থাপনা নির্মান কাজ অব্যাহত রাখেন। এর বিরুদ্ধে স্থানীয পর্যায়ে আন্দোলন গড়ে উঠলে শেষ পর্যন্ত জজ কোর্ট থেকে মহামান্য হাইকোর্ট পর্যন্ত গড়ায়। পার্ক সংরক্ষন কমিটি হাইকোর্ট বিভাগে রীটপিটিশন নং ৩৫৯০/০৫ মামলা দায়ের করেন। শুনানীন্তে আদালত ২০০৫ সালের ২৪ মে জেলা পরিষদের মালিকানাধীন মধুমিতা পার্কের জায়গায় অবৈধ নির্মান কাজ বন্ধের নির্দেশনা দেন। কিন্তু এ নির্দেশনা উপেক্ষা করে দখলদাররা পাকা দোকান ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। ২০০৮ সালে হাইকোর্ট পার্কের জায়গা থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে পুর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে দিতে নির্দেশ দিলে তা বাস্তবায়ন হয়নি। সর্বশেষ মধূমিতা পার্ক সংরক্ষণ কমিটি হাইকোর্টে কোর্ট অব কমেন্ট পিটিশন করেন,যার নং-১০২/২২। শুনানীন্তে গত ১৩ মার্চ আদালত ২০ দিনের মধ্যে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি নির্দেশ দিলে কর্তৃপক্ষ তা ক’ ঘন্টার উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে বাস্তবায়ন করলেন। এ বিষয় মধুমিতা পার্ক সংরক্ষণ কমিটির সভাপতি এ্যাডঃ এফএম এ রাজ্জাক সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে জানান,বহুদিন পর মধুমিতা পার্কের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে কর্তৃপক্ষ পাইকগাছার মানুষের দাবী পূরন করলেন। এ সম্পর্কে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ আল আমিন জানান, ডিসি স্যারের নির্দেশে হাইকোর্টের আদেশমতে পার্কের জায়গা থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে জেলা পরিষদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।