রাজগঞ্জ প্রতিনিধি : যশোরের মণিরামপুর উপজেলার টেংরামারী সম্মিলনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দোতলার শ্রেণিকক্ষের ছাদের পলেস্তারা ধসে তিন ছাত্রী আহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ মে) বেলা ১১টার দিকে ষষ্ঠ শ্রেণির পাঠদান চলার সময় এ ঘটনা ঘটে। আহত ছাত্রীদের মণিরামপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
আহত তিন ছাত্রী হলো- ষষ্ঠ শ্রেণির পূর্ণা দাস, সোনালী আক্তার ও জান্নাতুল ফেরদৌস। এদিকে ছাদের পলেস্তারা ধসে পড়ায় বিদ্যালয়ে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এর পরপরই বিদ্যালয় ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম রিপন বলেন- বেলা ১১টার দিকে ষষ্ঠ শ্রেণির দ্বিতীয় পিরিয়ডে ‘জীবন ও জীবিকা’ ক্লাস নিতে শ্রেণিকক্ষে যাই। ক্লাস শুরু করার পরপরই বিকট শব্দে ছাদের পলেস্তারা ছাত্রীদের গায়ে ধসে পড়ে। এতে শ্রেণিকক্ষে থাকা তিন ছাত্রী আহত হয়।
ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র রবিউল আলম রায়হান বলে- কয়েক দিন আগে আমাদের ক্লাসরুমে স্বাস্থ্য মেলা হয়েছে। ওই দিন শিক্ষকেরা ছাদ ফেটে যাওয়ার বিষয়টি দেখতে পান। তারপরও আমাদের নিয়মিত ওই কক্ষে ক্লাস চলে। আজ ছাদ ধসে পড়ারপর তিনজন আহত হয়েছে। আমার কোমরে এক টুকরা পড়েছে।
বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী সুমাইয়া খাতুন বলে- ওই ভবনের নিচতলায় আমাদের ইংরেজি ক্লাস চলছিল। হঠাৎ বিকট শব্দ শুনে আমরা আতঙ্কিত হয়ে বেরিয়ে আসি। পরে শুনি ওপরে ছাদের পলেস্তারা ধসে ছাত্রীদের গায়ে পড়েছে।
বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী অভিভাবক নূর আলম ভান্ডারি বলেন- তিন দিন আগে বাচ্চারা ছাদের খারাপ দশা দেখে শিক্ষকদের ডেকে দেখাইছে। তারা পরে দেখবে বলে বিষয়টি উড়িয়ে দিয়েছে। ওই দিন ব্যবস্থা নিলে আজ এ দুর্ঘটনা ঘটত না।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রভাস চন্দ্র বলেন- কয়েক দিন ধরে দোতলার ষষ্ঠ শ্রেণিকক্ষের ছাদের পলেস্তারায় ফাটল দেখে কক্ষের পশ্চিম পাশে ছাত্রীদের বসতে নিষেধ করা হয়েছিল। ওরা নিষেধ শোনেনি।
মণিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাকির হোসেন বলেন- ছাদের পলেস্তারা ধসে পড়ার বিষয়টি শুনেছি। আহত তিন ছাত্রীকে মণিরামপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
মণিরামপুর স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা তন্ময় বিশ্বাস বলেন- আহত তিন ছাত্রীর অবস্থা স্বাভাবিক আছে। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।