শ্যামনগরে বিনা-তিলের সম্প্রসারণে মাঠ দিবস

0
92
শ্যামনগর প্রতিনিধিঃ  সাতক্ষীরার শ্যামনগরে শ্যামনগরে বিনা-তিলের সম্প্রসারণে মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিনা তিল চাষে কৃষকদের মুখে হাসি ফুটেছে।সোমবার (১২ জুন) সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার কাঁচড়াহাটি গ্রামে বিনা তিল শস্য কর্তন উপলক্ষ্যে ক্ষেতের পাশেই অনুষ্ঠিত মাঠ দিবসে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি বক্তব্য দেন বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিনা) মহাপরিচালক ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম। বিনা উপকেন্দ্র, সাতক্ষীরার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ড. মোঃ বাবুল আকতারের সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিনা প্রধান কার্যালয় ময়মনসিংহের পরিচালক (গবেষনা) ড. মোঃ আব্দুল মালেক, তেল জাতীয় ফসল প্রকল্পের প্রকল্প-পরিচালক ড. মোঃ রফিকুল ইসলাম, কালিগঞ্জ উপজেলার উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ ওয়াসীম উদ্দীন, শ্যামনগর উপজেলার উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ নাজমুল হুদা, ভুরুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ এ.কে.এম জাফরুল আলম প্রমূখ বক্তব্য রাখেন। অতিথিরা বলেন-স্বাভাবিক খাবারের পাশাপাশি তিল শারীরিক ও মানসিক বিকাশে উপকারী ফ্যাটি এসিড, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন এ, ডি, কে, পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়ামের ডাল উৎস হিসেবে কাজ করে। বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট (বিনা) কর্তৃক উদ্ভাবিত বিনাতিল-২ উচ্চ ফলনশীল ও স্বল্প জীবনকাল সম্পন্ন হওয়ায় আমন- সরিষা-তিল শস্যবিন্যাসে চাষ করে পতিত জমি চাষের আওতায় আসবে। শ্যামনগর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় বিনা উপকেন্দ্র, সাতক্ষীরার মাধ্যমে কৃষকদের মাঝে বিনাতিল এর বীজ বিতরণ করা হয়েছিল এবং বাম্পার ফলন পেয়ে কৃষকরা খুশি। পতিত জমিতে এই অঞ্চলের কৃষকদের সফলতা দেখে, অনেকেই বিনাতিল চাষে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। বিনাতিল-২ এর চাষী শ্যামনগরের কাঁচড়াহাটি নন্দী গ্রামের গোবিন্দ কুমার মন্ডল জানান, আগে তার জমি এই সময়ে পতিত থাকতো বিনা উপকেন্দ্র, সাতক্ষীরার মাধ্যমে তিনি বিনাতিল-২ এর চাষ শুরু করেন, জাতটিতে রোগ বালাই এর আক্রমণ কম এবং ফলন অনেক বেশী হবার ফলে সে আর্থিক ভাবে অনেক লাভবান হয়েছেন। তার সাফল্যে আশেপাশের জমির কৃষকেরা তাদের পতিত জমিতে বিনাতিল-২ চাষে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন বিনা উপকেন্দ্র, সাতক্ষীরার বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোঃ মশিউর রহমান সঞ্চালনা করেন বিনা উপকেন্দ্র, সাতক্ষীরার বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মিলন কবীর, কৃষি উপ- সহকারী কর্মকর্তা মহি উদ্দীন ও শেখ কামরুল হাসান।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here