চৌগাছা (যশোর) প্রতিনিধি ॥ চৌগাছার মেয়ে এক সন্তানের জননী সেলিনা বেগম (২৫) প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে নিখোঁজ রয়েছে। যশোরের নওয়াপাড়ায় স্বামীর ভাড়া বাসা হতে সন্তানকে সাথে নিয়ে বের হয়ে আর ফেরেনি। দ্ইু পরিবারের লোকজন নিকট আত্মীয়-স্বজনসহ সম্ভব্য সব জায়গায় খুজেও সেলিনা ও তার সন্তানের কোন সন্ধান পাইনি। মেয়েকে খুজে পেতে ব্যাকুল সেলিনার বৃদ্ধ পিতা মাতা ও স্বজনরা।
চৌগাছা পৌর এলাকার বাকপাড়া মহল্লার বাসিন্দা জালাল শেখ। প্রায় দশ বছর আগে যশোরের অভয়নগর উপজেলার পাঁচকবর গ্রামের মৃত গোলাম সরোয়ারের ছেলে আব্দুর রহিমের সাথে তার মেয়ে সেলিনা বেগমকে বিয়ে দেয়। বর্তমানে তারা নওয়াপাড়ার নটবেঙ্গলে জৈনক সেলিমের বাড়িতে তিন বছর ধরে ভাড়া থাকে এবং স্বামী আব্দুর রহিম নওয়াপাড়া ঘাটে লেবারের কাজ করেন।
সেলিমা বেগমের পিতা জালাল শেখ বলেন, ঈদুল আযহার চার দিন আগে সোমবার বিকেলে সেলিনা বেগম তার শিশু কন্যা নুসরাতকে (৬) সাথে নিয়ে বাসা থেকে বের হয়ে আর বাড়ি ফেরেনি। রাতে মেয়ের জামাই আব্দুর রহিম মোবাইলে মাধ্যমে জানান, তিনি কাজ থেকে বাড়ি এসে নুসরাত ও তার মা সেলিনাকে বাসায় পাচ্ছেনা। সেই থেকে জামাইসহ আমরা সকলেই নিকট আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে খোজ নিয়ে কোথাও সন্ধান মেলাতে পারেনি। কোন উপায় না পেয়ে নওয়াপাড়া থানায় একটি লিখিত দিয়েছি কিন্তু আজও কোন খোঁজ খবর পাইনি। আবেগ জড়িত কন্ঠে সেলিনার পিতা জালাল শেখ ও মা রহিমা বেগম বলেন, আমার মেয়ে দুই সপ্তাহ কোথাও যেয়ে থাকতে পারবেনা। তার নিশ্চয় বড় ধরনের কোন ক্ষতি হয়েছে। মেয়ে জামাই মাঝে মধ্যে ঝগড়া করতো ঠিকই কিন্তু সেটি পারিবারিক ভাবে আবার সমাধানও হয়েছে।
সেলিনা বেগমের স্বামী আব্দুর রহিমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি ঘাটে লেবারের কাজ করি ঠিকই কিন্তু আমার সংসারে কোন অভাব নেই। স্ত্রী সন্তান নিয়ে আমার সুখের সংসার। কেন কি কারনে ঘর থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি আমি নিজেও কিছু বুঝে আনতে পারছিনা। সংশ্লিষ্ঠ থানায় অভিযোগ করেছি পাশাপাশি খোঁজ খবর অব্যহত রেখেছি।