বৈরী আবহাওয়া, হাসপাতালে শিশুদের নিয়ে মায়েদের লম্বা লাইন

0
279

এহসানুল হোসেন তাইফুর, বিশেষ প্রতিনিধি: দিনে গরম-রাতে শীত এমন বৈরী আবহাওয়ার কারণে কেশবপুরে ঘরে ঘরে শিশুদের মধ্যে শুরু
হয়েছে জ্বর, সর্দিসহ শ্বাসকষ্ট। উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌর এলাকায় খবর
নিয়ে জানা গেছে, গত ৩ দিনে রাতে শীত ও দিনে গরম শুরু হওয়ায় শিশুসহ সব বয়সী
মানুষের মধ্যে এ রোগ দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে শিশুরা ভুগছে শ্বাসকষ্টে বেশি।
সরেজমিন বুধবার বেলা সাড়ে ১১ টার পর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দেখা যায়, প্রায়
শতাধিক মা শিশুদের চিকিৎসার জন্য বহিঃবিভাগের সামনে অপেক্ষা করছেন। ডাক্তার
দেখানোর জন্য শিশুদের কোলে নিয়ে ওই সমস্ত মায়েদের লম্বা লাইনেও দাঁড়াতে হয়। উপজেলার
আলতাপোল গ্রাম থেকে কানিজ ফাতিমা এসেছেন তার দেড় বছর বয়সী শিশু ছেলে
সামিউল ইসলামকে ডাক্তার দেখানোর জন্য। তিনি ডাক্তার সমরেশ দত্তের চেম্বারের সামনে
লাইনে দাঁড়িয়ে বলেন তার ছেলেটির জ্বর ও সর্দি কাশি হয়েছে। এ জন্য তাকে
হাসপাতালের বহিঃবিভাগে চিকিৎসার জন্য আনা হয়েছে। একই লাইনের পাশে দাঁড়িয়ে
উপজেলার মজিদপুর গ্রামের হাফিজুর রহমান বলেন, তিনি তার ৭ মাস বয়সী মেয়ে
সাইমা রহমান সাবার সর্দি কাশি হওয়ায় হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আনা হয়েছে।
তাদের মত প্রায় শতাধিক অভিভাবক জ্বর, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত শিশুদের নিয়ে
এসেছেন হাসপাতালে।
উপজেলার পৌর এলাকার ১নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সাহিদা সুলতানা বলেন, গত কয়েকদিন
ধরে দিনে গরম ও রাতে শীত এমন বৈরী আবহাওয়ার কারণে তার ছেলে কে এম আবির ইসলাম
(১৬) সর্দি ও কাশিতে আক্রান্ত হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে তাকে পৌর শহরের মধুসড়কের মুক্তি
ফার্মেসী থেকে চিকিৎসা করানো হয়েছে। উপজেলা সুফলাকাটী ইউনিয়নের
বেতীখোলা বাজারের পল্লী চিকিৎসক রেজাউল ইসলাম বলেন, তার চেম্বারে ৫ থেকে ৬ জন
সর্দি, কাশিতে আক্রান্ত শিশুকে আনা হলে তাদেরকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। উপজেলার
সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের বকুলতলা বাজারের পল্লী চিকিৎসক নূরুল ইসলাম বলেন, গত ২
দিনে তিনি ২২ জন শিশুকে চিকিৎসা দিয়েছেন। রাতে শীত ও দিনে গরমের কারণেই
বিভিন্ন রোগে শিশুরা আক্রান্ত হচ্ছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাক্তার সমরেশ দত্ত বুধবার বহিঃবিভাগে
শিশুদের চিকিৎসা দেওয়ার সময় বলেন, আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে বর্তমান সময়ে
শিশুরা একটু বেশি জ্বর, সর্দি ও কাশিতে আক্রান্ত হচ্ছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here