খুলনায় বাঁধ ভেঙে ২০ গ্রাম প্লাবিত, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

0
101

খুলনা: প্রবল ঘূর্ণিঝড় রিমালে দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের উপকূলীয় এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। উপড়ে পড়েছে বহু গাছ, বিধ্বস্ত হয়েছে কাঁচা-পাকা ঘরবাড়ি।ভারী বর্ষণ ও জোয়ারের পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ফসলের ক্ষেত। অনেক জায়গায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।ঝড়ের ফলে ভারী বৃষ্টিতে প্লাবিত হয়েছে খুলনা মহানগরীর নিম্নাঞ্চল। অনেক বাড়িঘর ও গাছপালা ভেঙে গেছে। গাছ পড়ে যান চলাচল বন্ধ হয় অনেক সড়কে।এদিকে ঘূর্ণিঝড় রিমালে দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের উপকূলীয় উপজেলা কয়রার বেশ কিছু জায়গার পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বাঁধ ভেঙে অন্তত ২০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। তলিয়ে গেছে মাছের ঘের ও ফসলি জমি।রোববার (২৬ মে) দিবাগত রাতে জোয়ারের চাপেমহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের সিংহেরকোণা, মহারাজপুর ইউনিয়নের দশহালিয়া ও দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বেলাল গাজীর বাড়ির সামনের বাঁধ ভেঙে গেছে। এ ছাড়া বাঁধের নিচু কয়েকটি জায়গা ছাপিয়ে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করেছে। এসব জায়গায় এলাকার মানুষ রাতভর মেরামত কাজ চালিয়েও শেষ রক্ষা করতে পারেনি।

দাকোপ উপজেলার শিবসা ও ঢাকী নদীর বাঁধ ভেঙে তিলডাঙ্গা ইউনিয়নের কামিনীবাসিয়া গ্রামের ৪ ও ৫ নম্বর ওয়ার্ড এলাকা তলিয়ে যায়। উপজেলার সুতারখালী ইউনিয়নের কালাবগী ফকিরকোনা, ঝুলন্তপাড়া এবং পণ্ডিতচন্দ্র স্কুল সংলগ্ন এলাকা সম্পূর্ণ প্লাবিত। এ অবস্থায় চরম উৎকণ্ঠার মধ্যে রয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।কয়রা উপজেলার মদিনাবাদ এলাকার এমদাদুল হক বলেন, কয়রা উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নের দশালিয়া গ্রামের বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি ঢুকে গেছে।পাইকগাছার শান্তা এলাকার শাফায়েত হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, ঝড়ের তীব্রতা অনেক বেশি। পূর্ব পশ্চিম ঝড় হচ্ছে। বেড়িবাঁধের অবস্থা খুবই খারাপ। নদীর ওপারের ঢেউ এসে আছড়ে পড়ছে। জোয়ারের পানি ভাটায় তেমন কমেনি। তার ওপর আবার জোয়ার হয়েছে। যার কারণে পানির চাপ বেশি।সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের বিভাগীয় (ডিএফও) বন কর্মকর্তা ড. আবু নাসের মোহসিন হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, ঘূর্ণিঝড় রিমালে সুন্দরবনের কত ক্ষতি হয়েছে তা নিরূপণ তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। ১ ঘণ্টা পর জানাতে পারব।উল্লেখ্য, সোমবার (২৭ মে) সকাল ৮টায় আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে (ক্রমিক নম্বর-১৮) বলা হয়েছে ঘূর্ণিঝড় রিমাল উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে উপকূল অতিক্রম সম্পন্ন করে বর্তমানে খুলনার কয়রার নিকট অবস্থান করছে। এটি আরো উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে ক্রমশঃ বৃষ্টিপাত ঝড়িয়ে পরবর্তী ২-৩ ঘণ্টার মধ্যে কিছুটা দুর্বল হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here