অসহনীয় গরমে বেড়েছে তালশাঁস বিক্রি

0
62
বেনাপোল উপজেলা প্রতিনিধি  : যশোরের শার্শা ও বেনাপোল বাজারে রাস্তার মোড়ে মোড়ে তালশাঁস বিক্রির ধুম পড়েছে। তীব্র গরমে তালের শাঁসে থাকা জলীয় অংশ শরীরে পানির চাহিদা পূরণ করছে বলে জানান ক্রেতারা। শার্শা ও বেনাপোলের বিভিন্ন এলাকায় তালশাঁস বিক্রি করতে দেখা গেছে। অনেকে ভ্যানে করে ঘুরে ঘুরে বিক্রি করছেন তালশাঁস। আবার অনেকে প্রখর রোদে রাস্তার পাশে ছাতা টাঙিয়ে বিক্রি করছেন। দিনে রোদের তাপমাত্রা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে তালশাঁসের চাহিদা। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলে বেচাকেনা। গ্রীষ্মের অসহনীয় গরমে অস্থির পথচারীদের এক মুহূর্তের জন্য হলেও স্বস্তি এনে দিচ্ছে কচি তালশাঁস। আবার অনেকেই বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছেন রসালো এ ফল। তালশাঁস বিক্রেতা মো. আজিজ বলেন, ‘প্রতিটি গাছ সিজন চুক্তিতে আমরা এক থেকে দেড় হাজার টাকায় কিনে থাকি। তবে ফল বেশি হলে এক গাছ দুই থেকে তিন হাজার টাকাতেও কিনতে হয়। তালের ফলন ভালো হলে প্রতিগাছে চার থেকে পাঁচ হাজার টাকা লাভ হয়। তালশাঁস এখন থেকে বিক্রি শুরু করেছি, চলবে শাঁস শক্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত।’ তিনি বলেন, ‘বর্তমানে শাঁসের চাহিদা বেশি। প্রতিপিস তালশাঁসের কোয়া পাঁচ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। তবে কেউ একসঙ্গে অনেকগুলো নিলে একটু ছাড় পাচ্ছেন। একটি তালের (তিন কোয়া) দাম নেওয়া হচ্ছে ১০-১২ টাকা পর্যন্ত।’ তালশাঁস কিনতে আসা আব্দুর রউফ বলেন, ‘বছরের প্রথম তালশাঁস খেলাম। তবে আর কিছুদিন পর এর চেয়েও ভালোমানের তালশাঁস পাওয়া যাবে। এটি আমার অত্যন্ত প্রিয় ফল।’

অসহনীয় গরমে বেড়েছে তালশাঁস বিক্রি

তালশাঁসের উপকারিতা প্রসঙ্গে তিনি আরও জানান, এতে থাকা প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। অনেক সময় অ্যাসিডিটির ফলে বমিভাব হয় এবং খাবার বিস্বাদ লাগে। কচি তালের শাঁস এই বমিভাব দূর করতে সাহায্য করে। সেইসঙ্গে খাবারে অরুচিভাব দূর করে। লিভারের সমস্যা দূর হয়। কারও অ্যানিমিয়া বা রক্তস্বল্পতা থেকে থাকলে তা দূর করতে কচি তালশাঁসের বিকল্প নেই। ত্বককে সুন্দর, উজ্জ্বল ও দীপ্তিময় করে তুলতেও ভূমিকা রাখে তালের শাঁস।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here