ঝিনাইদহ কালীগন্জ মোবাইল গেমে আসক্ত তরুনেরা,উৎকণ্ঠায় অভিভাবক

0
49
Exif_JPEG_420
কালীগন্জ প্রতিনিধিঃ মোঃ মাহাবুবুর রহমান : ঝিনাইদহ কালীগন্জ মোবাইল গেমে  দিন দিন অতিমাত্রায় আসক্ত হয়ে পড়ছে  ছাত্র-যুবসম্প্রদায়।
স্কুল, প্রাইভেট বাদ দিয়ে বিভিন্ন দোকান, মোড়ে ও শহরের অলিগলিতে সঙ্গবদ্ধভাবে  ব্রডব্যান্ড লাইন, ফ্রি ওয়াই-ফাই, বিভিন্ন ইন্টারনেট প্যাকেজ কিনে নাওয়া-খাওয়া বাদ দিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে এসব তরুনেরা। মোবাইলের যেমন ভালো দিক রয়েছে,
 তেমনই খারাপ দিকও রয়েছে।
করোনা মহামারির সময়ে স্কুল-কলেজ  লম্বা সময়  বন্ধ থাকায়,
এসময় অনেকেই মোবাইলে  আসক্ত হয়ে পড়ে,
তাদের মধ্যে তরুণেরা অন্যতম  ।যার  ফলশ্রুতি হিসাবে পাবজি-ফ্রি ফায়ার, ফেসবুক, ইন্টারনেট, ম্যাসেঞ্জার, টিকটকেই এখন তাদের ব্যস্ত সময় কাটে।
শিক্ষার্থীরা পড়ার টেবিল ছেড়ে স্মার্টফোনে ফ্রি ফায়ার ও পাবজি গেমের দিকে ঝুঁকে পড়ছে।
এছাড়াও এখান থেকে একটা অংশ কিশোর গ্যাং এর দিকে ধাবিত হচ্ছে।
এমনকি মোবাইল ডাটা কেনার জন্য বিভিন্ন অপকর্মের সাথেও জড়িয়ে পড়ছে।
তাই বর্তমানে অভিভাবকদের কাছে সব থেকে  বড় উদ্বেগের কারণ হয়ে দাড়িয়েছে।
অভিভাবকসহ, এলাকার মুরুব্বি, শিক্ষক, বড়ভাই কারো কথায় তারা কর্ণপাত করে না। সকাল থেকে শুরু করে গভীর রাত পর্যন্ত চলে তাদের এ ব্যস্ততা।
বর্তমানে এমন পর্যায়ে চলে গেছে রুখবে এখন  কে তাদের ?
বিভিন্ন সুত্রের মাধ্যমে জানা যায়,
কালিগন্জ এমনই বেশ কিছু পয়েন্ট আছে যেমন রেলষ্টেশন, সংলগ্ন চায়ের দোকান, লাউতলা বাজারে জামালের দোকান।ফিরজের দোকান।বালিয়াডাংগা বাজারের বল ফিল্ডির মাঠ।বানুড়িয়া বাজারে চায়ের দোকান সহ বিভিন্ন জায়গায় জোট হয়ে এসব খেলায় মত্ত হচ্ছে।
এমনকি ষ্টেশনের মতো  জায়গায় যাত্রীরা তাদের দ্বার ইভটিজিং শিকার হচ্ছে।—-
এক মহিলা বলেন,
আমি ষ্টেশনের পাশদিয়ে যেতে ছিলাম।
এমতাবস্থায় একদল  যুবক মোবাইলে খেলা নিয়ে হাসাহাসি করলে,আমি নিরাপত্তাহীনতাবোধ করি এবং বিভিন্ন ভাষায় কথাবার্তা বলতে থাকে।
 এদের অধিকাংশই তরুন।তাদের কর্মকান্ড দেখে  মনে হয় ভবিষ্যতে  এসব তরুনেরা  বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়।মোবাইল গেমে আসক্ততরুনদের অভিভাবকরা প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here