পাইকগাছায় নৌরনদী উপর বাঁশে সাঁকো পারাপার মানুষ মরণ ফাঁদ 

0
91
পাইকগাছা প্রতিনিধি : পাইকগাছা উপজেলার চাঁদখালী ইউনিয়ন ৮নং ওয়ার্ডে উওর গড়ের আবাদ সরদার বাড়ি জামে মসজিদ সামনে নৌর নদীর উপর বাঁশের সাঁকো দিয়ে পারাপার  যেন মরণ ফাঁদ হয়ে পড়েছে। শত শত  মানুষের পারাপারে ভোগান্তি। প্রতি দিন প্রায় শত শত মানুষ  বাঁশের সাঁকো দিয়ে পারাপার হয়ে পূর্ব গজালিয়া  ডাবর ইটের রাস্তা উঠে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে যেয়ে থাকেন এলাকার মানুষ ।বৃষ্টির সময় গ্রামের অনেক গাড়ী চালক  মটর ভ্যান,  নসিমন, করিমন, পাঁকা রাস্তার উপর, অথবা অন্যোর বাড়ীতে গাড়ী রেখে পার হয়ে বাড়ী ফিরে । উওর গড়ের আবাদ গ্রামটি প্রায় ৫ কিলোমিটার ঘিরে এ গ্রামে বসবাসের জনসংখ্যা দুই হাজারের ও বেশি। কিন্ত গ্রামটিতে নেই কোন সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্টান। গ্রামে রয়েছে ৪টি জামে মসজিদ ২টি ঈদগাঁ, ২ টি কওমি মহিলা মাদ্রাসা। গ্রামের কোমল মতি ছাত্র-ছাত্রী পূর্ব গজালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় যেতে সহজ পথ বাঁশের  সাঁকো তা এখন  মরণ ফাঁদ হয়ে পড়েছে । শুকনো মৌসুমে স্কুল শিক্ষার্থীরা অনেক সময় বাদুড়িয়া ব্রীজ হয়ে, অথবা চৌহমুনি বাজার ঘুরে ১/২কিলো পথ হেটে স্কুলে যেতে পারে।  সরেজমিনে জানাযায় গত কয়েক  বছর আগে  মসজিদের সামনে বাঁশের সাঁকোটি গ্রামের মানুষের সহযোগিতায় প্রথমে সাঁকো নির্মাণ করা হয়েছিল।২/৩বছর যেতে না যেতে সাঁকো নষ্ট হয়ে পড়ে। সাবেক চাঁদখালি ইউপি চেয়ারম্যান জোয়াদুরসুল বাবু আমলে, সরকারি বরাদ্ধে স্থানীয় সাবেক মেম্বার আককাজ ঢালী, কিছু পাকা পিলার ও  কাটের তকতা দিয়ে নির্মাণ করলে ৩বছরে মধ্যে সাঁকোটি আবার নষ্ট হয়ে যায়। আবারো স্থানীয় মানুষের সহযোগিতায় কোন রকম সংস্কার করলে তা বর্তমানের বাশেঁর সাঁকোটি  পারা পার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।স্থানীয় কাশেম সরদার বলেন, গ্রামের মানুষের সহযোগিতায় কয়েক বার সাঁকোটি তৈরি করা হয়েছিল, কিন্ত পানিতে বাশ নষ্ট হয়ে ২/৩বছরের মধ্যে আবার নষ্ট হয়ে যায়।এজন্য এখানে সরকারি ভাবে ব্রীজ নির্মাণ করার দাবি জানাই। স্থানীয় মেম্বার  নজরুল সরদার বলেন আমি পরিষদের চেয়ারম্যান কে জানানো হয়েছে নৈর নদীর উপর বাঁশের সাঁকোটি নষ্ট হয়েছে,তিনি বলেন এই মুহূর্তে পরিষদে তেমন কোন বরাদ্দ নাই, পৌষ মাসে নতুন বাজেটে সাঁকোটি টেকসই সাঁকো নির্মাণ করা হবে।এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাছে মুঠোফোনে জানার জন্য যোগাযোগ করলে মোবাইল পাওয়া যায়নি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here