যশোরে বিক্ষোভকারীদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ, আটক ৬

0
81

যশোর অফিস : “মার্চ ফর জাস্টিস” এর সমর্থনে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে উত্তাল যশোর। পুলিশী বাঁধা উপক্ষো করে শত শত শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে।  আজ বুধবার বেলা ১২ টার দিকে যশোর শহরের ধর্মতলা, আরবপুর, খোলাডাঙ্গা, খড়কী, কারবালা, ওয়াপদাপাড়া হয়ে বিক্ষোভ মিছিলটি দড়াটানায় পৌছানোর চেষ্টা করলে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনের কারবালা রোডে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের গতি রোধ করে। এসময় বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের সাথে পুলিশের ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ লাঠিচার্জ করে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এসময় ডিবি পুলিশের সদস্যরা বিক্ষোভকারী ৬ শিক্ষার্থীদের আটক করে বলে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে। দেশব্যাপী গণহত্যা ও গণ গ্রেফতারের প্রতিবাদে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে গতকাল সারা দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, পুলিশ সুপারের কার্যালয়, আদালত চত্বর, আইনজীবী ভবনসহ সর্বস্তরে “ মার্চ ফর জাস্টিস” কর্মসূচী ঘোষনা করা হয়। এই কর্মসূচীর অংশ হিসেবে আজ সকাল ১১ টা থেকে শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে স্কুল, কলেজ ও বিশ^বিদ্যালয় পড়–য়া শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা ব্যানার, ফেস্টুন ও নানা শ্লোগান সম্বলিত প্লাকার্ড নিয়ে হাজির হন। পুলিশও শহরের বিভিন্ন প্রবেশ দ্বারে কড়া সতর্ক অবস্থান গ্রহণ করে। বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে কয়েকশ শিক্ষার্থী ও তাদের বহু অভিভাবক শহরের ধর্মতলা মোড়ে যশোর ঝিনাইদহ মহাসড়কের ওপর অবস্থান গ্রহণ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে থাকে। এসময় হরেক রকমের শ্লোগানে শ্লোগানে গোটা এলাকা প্রকম্পিত করে তোলে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। শিক্ষার্থীদের অবস্থান স্থল চতুর্থপাশর্^ থেকে পুলিশ ও গোয়েন্দা শাখার সদস্যরা ঘিরে ফেলে। এক পর্যায়ে বিক্ষোভকারীরা মিছিল নিয়ে শহরের কারবালা রোড দিয়ে শহরের দড়াটানা মোড় ও কোট চত্বরে প্রবেশের চেষ্টা করলে পুলিশ কারবালা কবরস্থানের কাছে রাস্তায় ব্যারিকেট দিয়ে সড়কটি আটকে দেয়। কিন্তু বিক্ষোভকারীরা মিছিল নিয়ে ওই ব্যারিকেড ভেঙ্গে সামনের দিকে অগ্রসর হলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জুয়েল ইমরানের নেতৃত্বে পুলিশ ও ডিবি পুলিশের সদস্যরা মিছিলের পেছন থেকে লাটিচার্জ করলে বিক্ষোভকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে বিক্ষোভকারীরা পুলিশের লাটিচার্জ উপক্ষো করে ফের পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে কারবালা সড়কে সমবেত হওয়ার চেষ্টা করলে সেখানেও ডিবি পুলিশের সদস্যরা আন্দোলনকারীদের ওপর লাঠিচার্জ করে। এসময় বেশ কয়েকজন ছাত্রীকে শারিরিক ভাবে নির্যাতনের অভিযোগ তোলা হয় আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে। এক পর্যায়ে আন্দোলনরত ৬ শিক্ষার্থীকে ডিবি পুলিশের সদস্যরা আটক করে বলে আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে গণমাধ্যম কর্মীদের জানানো হয়। তবে এ বিষয়ে জেলা পুলিশের মিডিয়া সেলের প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলাল হোসাইন বা ডিবি পুলিশের অফিসার ইনচার্জ রুপন কুমার সরকারের কোন বক্তব্য পাওয়া যায় নি। বার বার চেষ্টা করলেও  তারা ফোন রিসিভ করেননি। এমনকি মোবাইলে ক্ষুদে বার্তা বা মেসেজ পাঠিয়েও কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here