অভয়নগর (যশোর) প্রতিনিধি : যশোরের অভয়নগরে চাঞ্চল্যকর হাবিবুর রহমান মোল্যা (২৮) হত্যার ঘটনায় ৪ আসামিকে আটক ও হত্যায় ব্যবহৃত সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১
আগষ্ট) সকালে যশোর ডিবি ও থানার পুলিশ উপজেলার বাঘুটিয়া ইউনিয়নের
মধ্যপুর বালিরমাঠ সংলগ্ন ভৈরব নদে তীরে অভিযান চালানো হয়।
যশোরের ডিবির এস আই মফিজুর রহমান, অভয়নগর থানার তদন্ত কর্মকর্তা শুভ্র
প্রকাশ দাস ও ভাটপাড়া তদন্ত কর্মকর্তা মানিক কুমার শাহার নেতৃত্বে
আটককৃত আসামিদের নিয়ে অভিযান চালিয়ে হত্যায় ব্যবহৃত একটি রড,
দুইটি ক্রিকেট স্টাম ও একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করে জব্দ করা হয়।
এর আগে সন্দেহ ভাজন আসামি মেহেদী হাসানকে রাত আনুমানিক ১টা ৪৫
মিনিটের সময় অভয়নগর থানা ও ডিবি যশোরের গোয়েন্দা শাখার যৌথ অভিযানে
আটক করা হয়। আসামি মেহেদীর শিকারোক্তি মারফতে একই রাতে ২টা ১৫
মিনিটে হুমায়ুন শেখ (২১), ৩টা ৩০ মিনিটে ফয়সাল শেখ ও ভোররাত ৪ টা
১৫মিনিটে খন্দকার আল আমিন (৩০) কে নিজ বাড়ি হতে গ্রেফতার করা হয়। পরে
আটককৃত আসামিদের আদালতে প্রেরণ করা হবে বলে জানায় পুলিশ।
এ ব্যাপারে অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আকিকুল ইসলাম
বলেন, গত মঙ্গলবার ভৈরব নদে এক জনের লাশ পাওয়া যায়। পরে লাশ উদ্ধার তার পরিচয় সনাক্ত
করা হয়। তিনি উপজেলা মধ্যপুর গ্রামের রেজাউল ইসলামের ছেলে। অভয়নগর থানা ও
ডিবি যশোরের গোয়েন্দা শাখার যৌথ অভিযানে মেহেদী নামের এক ব্যক্তিকে
আটক করা হয়। তার শিকারোক্তি মোতাবেক অন্য অসমীদের আটক করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, অভয়নগরে ভৈরব নদ থেকে নিখোঁজের দুইদিন পর হাবিবুর রহমান মোল্যা
(২৮) নামের এক যুবকের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত মঙ্গলবার (৩০
জুলাই) দুপুরে উপজেলার বাঘুটিয়া ইউনিয়নের বিভাগদি গ্রাামের বালুর মাঠ
সংলগ্ন ভৈরব নদ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত হাবিবুর রহমান উপজেলার
মধ্যপুর গ্রামের রেজাউল মোল্যার বড় ছেলে। লাশের হাতে ও পায়ে বালুর বস্তা বাঁধা
অবস্থায় উপুড় হয়ে ভাসছিল। নদিতে একটি লাশ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে
খবর দেয়। পরে পুলিশ হাত পা বাধা অবস্থায় অর্ধগলিত মরদেহটি উদ্ধার করে। দুইদিন
আগেই তাকে হত্যা করে তার দুই হাত ও দুই পায়ে বালুর বস্তা বেঁধে নদিতে ফেলে
দেওয়া হয়।